অর্থনীতির নিম্নগতি রোধ এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সফল হয়েছি। কমেছে রাজস্ব ঘাটতিও। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে তাঁর ভাষণে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এ দিন মোদী বলেন, ‘২০১৯-২০ সালে জিএসটি বাবদ আয় ১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো বলেই বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। একেই বলা হয় অর্থনৈতিক স্থিতি। দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দূরদৃষ্টিতে রয়েছে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উন্নত পরিকাঠামো, উত্কর্ষতা বৃদ্ধি। আমরা চাই সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান। সেই লক্ষ্যে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া এবং মুদ্রার মতো প্রকল্প চালু করেছে সরকার, যার দ্বারা অসংখ্য মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি এসেছে। কেন্দ্রীয় মুদ্রা প্রকল্পে উপকৃতদের এক বড় অংশ মহিলারা।’সংসদে এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতবাসী শুধুমাত্র সরকার বদল করেননি, তাঁরা শাসনতন্ত্রেও পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছেন। আমরা যদি পুরনো নীতি আঁকড়ে থাকতাম, তা হলে ৩৭০ ধারা আজ ইতিহাস হত না। মুসলিম মহিলারা এখনও তিন তালাক প্রথায় নিষ্পেষিত হতেন। পুরনো ধ্যানধারণা নিয়ে চললে রাম জন্মভূমি ইস্যু এখনও অমীমাংসিত থাকত। করতারপুর সাহিব করিডর বাস্তবায়িত হত না। ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল হস্তান্তর চুক্তি হত না।’মোদী বলেন, ‘সমস্যার সমাধানের জন্য আর অনন্তকাল অপেক্ষা করতে রাজি নয় ভারত। এই জন্য বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হল দ্রুত গতি ও পদক্ষেপ, দৃঢ় সংকল্প ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্পর্শকাতরতা ও সমাধান।’নমোর দাবি, ‘দূরত্বের কারণে এতকাল উত্তর-পূর্ব অবহেলিত থেকে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি পালটেছে। উত্তর-পূর্ব উন্নয়নের দিশারী হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ চলেছে।’