ౠলকডাউন পরবর্তীকালেও করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে অগ্র꧋াধিকারের তালিকায় থাকা প্রথম ১০টি অঞ্চল এবং ১০টি সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিলেন মোদী।
রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশেষ করে জেলাস্তরে সংক্রমণের প্রভাব বেশি থাকার সম্ভাবনায় সংকটের হাল হকীকৎ জানতে এবং প্রয়োজনে তার সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে নেতাদের সক্রিয়⛦ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংকট মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে ব🉐লেও এ দিন জানিয়েছেন মোদী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কালোবাজারি রুখতে মন্ত্রীদের সদর্থক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন নমো।
কৃষক উন্নয়নের স্বার্থে আগামী ফসল তোলার মরশুমে তাঁদের সব রকম সরকারি সাহায্যের আশ্সাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের সঙ্গে বাজারের সরাসরি যোগাযোগ করাতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে বলে তিনি জান൩িয়েছেন। সেই সঙ্গে আদিবাসী পণ্য সংগ্রহের দ্বারা জনজাতিদের আর্থিক সংস্থানেও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সুবিধাগুলি যাতে অভাবী কৃষকদের কাছে যথাযথ পৌঁছতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়ে𒁏ছেন।
ভারতীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে COVID-19-এর প্রভাব সম্পর্কে এ দিন প্রধানౠমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর্থিক মন্দার মোকাবিলায় একটি বাণিজ্য নীতি তৈরি করার বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছে𝓡ন মোদী। তাঁর মতে, যে সমস্ত অঞ্চলে সংক্রমণের প্রভাব তুলনায় কম, সে সব জায়গায় লকডাউন পরবর্তীকালে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যের এক একটি বিভাগ নিষেধাজ্ঞামুক্ত করা হতে পারে।
করোনা হানায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানি ব্যবসাকে চাঙ্গা করার উদ্দেশে উৎপাদন ও রফতানি বাড়াতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার নির্দেশও এ দিন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, গ্রামীণ অঞ্চলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ-এর জনপ্𝓰রিয়তা বৃদ্ধিতে মন্ত্রীদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।