প্রথমে যে ঘটনাকে এক আজব এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা ভাবা হয়েছিল, ꦏপুলিশের তদন্ত এগোতেই বোঝা গেল, তা আদতে ছিল খুনের চক্রান্ত! কিন্তু, যাঁকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাঁর এই ঘটনায় কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং, গুরুতর জখম হন আততায়ীরই প্রিয় মানুষটি!
🐻কর্ণাটকের বাগলকোটে হেয়ার ড্রায়ার বিস্ফোরণের ঘটনায় সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, তারা এই ঘটনার রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। সেইসঙ্গে, হামলার মূলচক্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করেই প্রেম, প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহিংসার এক কাহিনী জানতে পেরেছে পুলিশ।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কর্ণাটক হেয়ার ড্রায়ার𓃲 বিস্ফোরণে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর নাম সিদ্দাপ্পা শীলাবন্ত। ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি একজন খনি শ্রমিক। তিনি একটি গ্র্যানাইট সংস্থায় কাজ করেন। ফলত, বিস্ফোরণ কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা তিনি ভালোই জানেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শীলাবন্ত কোপ্পাল জেলার কুশতাগি তালুকের বাসিন্দা। কোনওভাবে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বাগলকোট জেলার বাসিন্দা বাসবরাজেশ্বরীর। বাসবরাজেশ্বরী হলেন সেই মহিলা, হেয়ার ড্রায়ার বিস্ফো🐟রণের ফলে যাঁর দু'টি হাতের তালুই উড়ে গিয়েছে।
পুলিꩵশের দাবি, এই বাসবরাজেশ্বরীর সঙ্গꦜে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শীলাবন্ত। বাজসরাজেশ্বরী একজন বিধবা। কিন্তু, সম্প্রতি এই সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।
জেরায় শীলাবন্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, ইদানীং 𓂃বাসবরাজেশ্বরী তাঁไকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছিলেন না। এদিকে, প্রতিবেশী শশীকলার সঙ্গে বাসরাজেশ্বরীর সখ্য ক্রমশ বাড়ছিল।
বিষয়টি শীলাবন্তের নজর এড়ায়নি। তাঁর মনে হয়, শশীকলা কোনওভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলেই বাসবরাজেশ্বরী তাঁকে♛ প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছেন। এই কারণেই শীলাবন্ত স্থির করেন, তিনি শশীকলাকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবেন। 𝓀তাহলেই বাসবরাজেশ্বরী আবারও তাঁর কাছে ফিরে আসবেন।
এই কারণেই হেয়ার ড্রায়ারের ভিতর বিস্ফোরক ভরে এবং সেটি যাতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটায় সেই 🀅ব্যবস্থা করে, ওই হেয়ার ড্রায়ার শশীকলার নামে ক꧒্যুরিয়র করে দেন শীলাবন্ত।
কিন্তু, শশীকলা সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত 🐼ছিলেন না। ফলত, তাঁরই অনুরোধে বাসবরাজেশ্বরী সেই পার্সেলটি নেন এবং বাক্স খুলে হেয়ার ড্রায়ার বের করতেই সেটি ফেটে যায়। তাতে দুই হাতের তালু চিরকালের মতো হারান তিনি। ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ নভেম্বর।
পুলিশের দাবি, শীলাবন্ত ইতিমধ্যেই তা🎃ঁর অপরাধ কবুল করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনত যা যা পদক্ষেপ করার,🍸 তা করা হচ্ছে। শীলাবন্ত যাতে কঠোর শাস্তি পান, পুলিশের তরফে তার চেষ্টা করে হবে বলে দাবি সূত্রের।