হর🅘িয়ানার পতৌদি থেকে উদ্ধার হল ২০ লাখ লিটার অবৈধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ঘটনাস্থল থেকে🍬 গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।
গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ꧑বুধবার পতৌদির ওই দোতলা বাড়িতে থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার কারখানায় হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, কোনও বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই কারখানাটি চালানো হচ্ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ মিলি বোতলে ভরা꧅ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ১ লাখ বোতল। বোতলের লেবেলে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই স্যানিটাইজার ৭০% অ্যালকোহল ভিত্তিক ফর্মুলা মেনে তৈরি এবং তা ব্যবহার করলে ভাইরাস থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এমন ২০ হাজার লেবেল এবং ড্রাম ও বালতিতে মজুত ২০ লাখ লিটার স্যানিটাইজার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, যন্ত্রপাতি ছাড়া বালতি ও ড্রামে যুক্ত কলের সাহায্যে বোতলে ﷽স্যানিটাইজার ভরা হত ওই কারখানায়।
পুলিশের জেরার জবাবে ধৃতরা জানিয়েছে, দিল্লি থেকে কেনা কাঁচামাল দ🥃িয়ে স্যানিটাইজার তৈরি করা হত। যদিও কাঁচামাল কেনার ৪০,০০০ টাকা মূল্যের রশিদ সবই ভুয়ো বলে দাবি পুলিশের। সেই সঙ্গে কারখানা চালানোর ভুয়ো শংসাপত্রও দেখিয়েছে ধৃতরা।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে মাস্ক ও স্যানিটাইারের চাহিদা বেড়ে যা꧅ওয়ার সুযোগে রাতারাতি বেশ কিছু অবৈধ কারখানা হরিয়ানায় গজিয়ে উঠেছে। তারই সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত পণ্য কালোবাজারে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পতৌদি থেকে ধৃত দুই অভিযুক্ত দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। করোনা প্রকোপেꦬর আবহে দ্রুত টাকা রোজগারের উদ্দেꩲশে তারা অবৈধ স্যানিটাইজার তৈরির কারখানা খোলে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবহিধির 𝔉৪৭১ (ভুয়ো নথি ব্যবহার), ৪৬৭ (মূল্যবান নিরাপত্তাজনিত পণ্য প্রতারণা), ৪৬৮ (প্রতারণার উদ্দেশে জালিয়াতি), ৪২০ (প্রতারণা). ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়), ১৮৮ (সরকারি কর্মচারীর জারি করা নির্দেশ অমান্য), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) ধারা ছাড়াও গ্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।