দেশের সুরক্ষায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস মহামারী। এই পরিস্থিতিতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করার নির্দেশ দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একইসঙ্গে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকার নিܫর্দেশ দে💖ন চিনের রাষ্ট্রপ্রধান।
জিনপিংকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, 'সে♛নার প্রশিক্ষণ ব্যাপক জোরদার করা', 'দৃঢ়ভাবে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করা' এবং 'সার্বিকভাবে দেশের কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করা' গুরুত্বপূর্ণ।
তবে নির্দিষ্টভাবে কোন দেশকে বার্তা দিতে চেয়েছেন, তা খোলসা করেননি চিনা রাষ্ট্রপ্রধান। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারক-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের পারদ ওঠানামা করছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। মূলত লাদাখ-সহ ৩🌺,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন জায়গায় ভারতের꧙ সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বেজিংয়ের। দু'পক্ষই সীমান্ত বরাবর বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে বলে খবর।
একইভাবে আমেরিকার সঙ্গেও চিনের চাপানউতোর উত্তরোত্তর বাড়ছে। করোনার জন্য 'বেজিংয়ের ঘাড়ে দোষ চ🌄াপানো' 💙এবং 'গুজব তৈরি করার' জন্য দু'দিন আগেই ওয়াশিংটনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন চিনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ই। কড়া সুরে তিনি জানান, চিনের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের দিকে’ ঠেলছে আমেরিকা।
এছাড়া তাইওয়ান এবং হংকং নিয়ে চিনের অন্দরে বিভিন্ন সামরিক পদক্ষেপের জল্পনা চলছে। তাইওয়ানের পুনঃসংযুক্তিকরণের দাবি তোলা হয়েছে। প্রয়োজনে বলপূর্বকভাবে পুনঃসংযুক্তিকরণের পথে হাঁটার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিবিদরা। হংকংয়ের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে নয়া এবং বিতর্কিত সুরক🔯্ষাꦡ আইন প্রণয়ন নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
সেই চার সম্ভাবনার মধ্যেই চিনা রাষ্ট্রপ্রধান জানান, করো🦂না মোকাবিলায় বেজিংয়ের পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে সামরিক সংস্কারের সাফল্য স্পষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহামারী সত্ত্বেও সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণের নয়া পন্থা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং।
চিনের সংসদ তথা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এ🃏বং পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্সের (পিএপিএফ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে প্রভাবশালী সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) পৌরহিত্যকারী জিনপিং জা♔নান, ‘দক্ষতার সঙ্গে প্রকৃত কমব্যাট মিলিটারি প্রশিক্ষণ চালানো যায় এবং অভিযান চালানোর জন্য ব্যাপকভাবে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার উন্নতি করার’ স্বার্থে মিলিটারি ‘কষ্ট’-এর জন্য প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজনীয়।
চিনের সরকারি মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, জিনপিং বলতে চেয়েছেন যে 'জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সংস্কারের ক্ষেত্রে এই মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কষ্ট একটি বাস্তব পরীক্ষা। যা সংস্কারের কার্যকারিতাকে তুলে ধরে এবং একইসঙ্গে সংস্কারের জন্🌳য নয়া প্রয়োজনকেও তুলে ধরে।'