গাজিয়াবাদে ভাড়াটিয়াকে খুন করার ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাড়িওয়ালা উমেশ শর্মা একটি অর্থপেডিক ক্লিনিকে কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করতো। সেই সূত্রে গবেষক তথা ভাডജ়াটিয়া অঙ্কিত খোখারকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করতে তার সমস্যা হয়নি। প্রথমে অঙ্কিতকে শ্বাস রোধ করে খুন করে উমেশ। তারপর কুড়ুল দিয়ে তার দেহ তিন টুকরো করে দেয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি তার প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। পরে টুকরোগুলি আলাদা পলিব্যাগে করে নদীতে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পা♚রার জন্য ভাড়াটিꦜয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল বাড়িওয়ালা। গাজিয়াবাদের মোদীনগর 🐼এলাকায় বাড়ি উমেশ শর্মার। সেখানেই ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন অঙ্কিত। অঙ্কিতের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ করেছিলেন বাড়িওয়ালা উমেশ শর্মা। কিন্তু ব্যবসায় লোকসানের কারণে সেই টাকা শোধ না করে উমেশকে খুনের পরিকল্পনা করে উমেশ। এই ঘটনায় উমেশ ছাড়াও আরও একজন জড়িত ছিল। তার নাম প্রবেশ কুমার শর্মা। দুজনকেই বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দুজনেরই পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অঙ্কিতের দেহের টুকরো উদ্ধার হয়েছে গাজিয়াবাদের মুরাদনগরের খাল এবং ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের কাছে।
পুলিশ জানায়, তিনটি দেহের অঙ্গ গত♔ ৬ অক্টোবর একটি গাড়িতে করে তারা ফেলে দিয়েছিল। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য উমেশের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রক্তে মাখা কুড়ুল এবং অঙ্কিতের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং কোড ও এটিএম কার্ডও পুলিশ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে ৬ মাস ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন অঙ্কিত। খুন হওয়ার তিন মাস আগে তিনি পৈতৃক সম্পত্তি ১ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন। তা থেকেই উমেশকে ৪০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন।