কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) ছাড়া সমস্ত পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির (পিএসবি) বেসরকারিকরণ করা। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক রিসার্চের রিপোর্টে এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলি ইতিমধ্যেই পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির একটি নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক রিসার্চের (এনসিএইআর) একটি রিপোর্ট অনুসারে, এসবিআই ছাড়া বেশিরভাগ পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি গত দশকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এনসিএইআর-এর পুনম গুপ্তা এবং অর্থনীতিবিদ অরবিন্দ পানাগরিয়া এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। সেই🍬 রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় সম্পদ এবং ইক্যুইটির উ🐷পর কম রিটার্ন অর্জন করেছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এনসিএইআর রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি আমানত এবং ঋণ উভয় ক্ষেত্রেই বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির থেকে পিছিয়ে পড়ছে। ২০১৪-১৫ সাল থেকে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বৃদ্ধি হয়েছে মূলত বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং এসবিআই-এর জন্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গত দশ বছরে তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি নীতি উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি খাতের ব্যাংকগুলি খারাপ পারফরম্যান্স অꦑব্যাহত রেখেছে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কের তুলনায় রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের নন-পারফর্মিং অ্যাসেটের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১০-১১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২০-২১ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ꧒ব্যাঙ্কগুলিতে ৬৫.৬৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সরকার। অপরিশোধিত ঋণের সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতেই এই সাহায্য করেছে সরকার। তবে তা সত্ত্বেও এসবিআই ছাড়া বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাজার মূল্যায়ন ‘খুব কম’ হয়ে গিয়েছে। এসবিআই꧂ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাজার মূলধন ৪৩.০৪ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণ করা সহজ হবে। বেসরকারিকরণের জন্য নির্বাচিত প্রথম দুটি ব্যাঙ্ককে ভবিষ্যতের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করা উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নীত꧑ি আয়োগ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পরামর্শ দিয়েছে।