পাঁচটি নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্পের প্রজেক্ট রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের থেকে সবুজসংকেত এলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে। মঙ্গলবার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করে এই কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, পাঁচটি নদী সংযুক্তিকরণের খসড়া প্রজেক্ট রিপোর্টটি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এই নদী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যগুলির অনুমোদন পেলেই এই প্রকল্পের কাজের বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যাবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যথাসাধ্য আর্থিক সহয়তা করবে। প্রস্তাবিত ওই পাঁচটি প্রকল্প হল, গোদাবরী–কৃষ্ণা নদী, কৃষ্ণা–পেনার নদী, পেনার–কাবেরী নদী, দমনগঙ্গা–পিঞ্জল নদী ও পার–তাপি–নর্মদা নদী প্রকল্প। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীকে যুক্ত করার পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হলে গোদাবরী নদী থেকে ২৪৭ টন কিউবিক মিটার জল যাবে কৃষ্ণা, কাবেরী ও পেনার নদীতে। এর ফলে ওই সব নদী যে সব রাজ্যের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, সেই সব রাজ্যও উপকৃত হবে। উল্লেখ্য, কৃষ্ণা নদীটি মহারাষ্ট্রের মহাবালেশ্বর থেকে উৎপত্তি হয়েছে। সেটি মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। কাবেরী নদী গিয়েছে কর্নাটক, তামিলনাড়ুর মধ্য দিয়ে। পেনার নদীটি চিক্কাবাল্লাপুরা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এরপর এই নদীটি কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। দমনগঙ্গা–পিঞ্জল নদী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল দমনগঙ্গার জল যাতে মুম্বাই শহরের মানুষ পায় তা নিশ্চিত করা। অন্যদিকে পার–তাপি–নর্মদা নদী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে খরা প্রবণ এলাকায় জলকে পৌঁছে দেওয়া।