প্রথম দফায় শুধুমাত্র প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধাদের টিকা প্রদান করা হবে। স🍒েই তালিকায় থাকবেন না জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে জানালেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।
দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং ট♛িকা বণ্টন নিয়ে সোমবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক করেন মোদী। সেখানে তিনি জানান, ভারতে ইতিমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে দুটি টিকা। ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে আছে আরও চারটি ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’। কোভ্যাক্সিনের তথ্য বিতর্কের মধ্যেই তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে কার্যকরী টিকা প্রদানের জন্য যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করেছেন আমাদের বিশেষজ্ঞরা।’
তিনি জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাকরণ প্র🧜ক্রিয়া শুরু হবে। প্রথম দফায় প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন। তাঁদের মধ্যে আছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, পুলিশ, সুরক্ষা বাহিনী, অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান-সহ অন্যান্য প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা। তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধাকে টিকা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং ৫০-এর কম বয়সি কো-মর্বিডিটি রোগীকে টিকা দেওয়া হবে।’ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জানান মোদী।
একইসঙ্গে মোদী জানান, সব রাজ্য মিলিয়ে তিন কোটির মতো স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধা আছেন। তাঁদের টিকাকরণের জন্য রাজ্যকে এক পয়সাও খরচ করতে হবে। করোনা যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। 𝐆;
এদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ই💃ন্ডিয়ার (এসআইআই) সঙ্গে ‘পারচেজ অর্ডার’-এ স্বাক্ষর করল কেন্দ্র। অর্থাৎ এবার সেরামের থেকে কেনা হতে চলেছে কোভিশিল্ড। সিএনসিবি-টিভি ১৮ চ্যানেলের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১.১ কোটি ডোজ কিনতে চলেছে কেন্দ্র। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টিকা বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সেরামের থেকে সরকার যে টিকা কিনবে, তার প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে ২০০ টাকা।