Public Sector Banks Record Profit: ঘুরে দাঁড়াচꦇ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলি(PSBs)। তাদের পারফরম্যান্স রিপোর্টে দুর্দান্ত প๊রিবর্তন স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ১২টি PSB, বিশেষ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিপুল নেট মুনাফা (১৩,২৬৪.৫২ কোটি টাকা) করেছে। আর এটাই প্রমাণ করে যে, সঠিক পন্থায় পরিচালিত হলে, সরকারি ব্যাঙ্কের তুলনা হয় না। সেখানে আমজনতার টাকাও সুরক্ষিত, আবার সরকারের লোকসানও নেই।
কয়েক বছর আগেই যদিও ছবিটি এমন ছিল না। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের এই সময়ে নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬,৫৪৭ কোটি টাকা। আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে লাভজনক প্র𒆙তিষ্ঠান SBI, পিছিয়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠী: রিপো⛎র্ট
বিশ্লেষকদের ধারণা, এর পিছনে সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তই অনুঘটকের কাজ করেছে। তার মধ্যে AQR অন্যতম। ফাইলের তলায় চাপা পড়ে যাওয়া নন-পারফর্মিং অ্য🌺াসেট (NPA) বের করে আনার জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিলে অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ বা সংক্ষেপে AQR চালু করে সরকার। ভারতীয় ব্যাঙ্কিং খাতকে শক্তিশালী করার প্রথম বড় পদক্ষেপ ছিল এটি। আজ ৭ বছর পর তার সুফল স্পষ্ট।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ৭ নভেম্বর টুইট করেন, 'এনপিএ কমাতে এবং PSB-এর স্বাস্থ্যকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সরকারের ক্রমাগত প্রচেষ্টা করে চলেছে। সেই চেষ্টার 🎶এখন বাস্তব ফলাফল দেখা যাচ্ছে। সমস্ত ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কই Q2FY23-এ ২৫,৬৮৫ কোটি টাকার এবং H1FY23-এ মোট ৪০,৯৯১ কোটি টাকার, যথাক্রমে ৫০% এবং ৩১.৬% বৃদ্ধিপ্রাপ্ত (y-o-y) নেট মুনাফার ঘোষণা করেছে।'
SBI-এর এই সময়পর্বে নিট মুনাফা ৭৪% বেড়েছে। কানাꦆ🌱রা ব্যাঙ্কের বেড়েছে ৮৯%। (২,৫২৫ কোটি টাকা), UCO ব্যাঙ্কের ১৪৫% (৫০৪ কোটি টাকা), ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ৫৮.৭% ৩,৩১২.৪২ কোটি টাকা, এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ১২% ১,২২৫ কোটি টাকা। SBI সহ অনেক PSB-এর স্টকই সেদিন ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যায়।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মতো আদ্যোপান্ত ব্যবসায়িক সংস্থাকেও টেক্কা দিয়েছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক SBI। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাঙ্কের একত্রিত নেট আয়(consolidated net income) ১৪,৭৫২ কোটি টাকা। এদিকে এই একই সময়পর্বে মুকেশ আম্বানির সংস্থার নেট আয় ১৩,৬৫৬ কোটি টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের এই সাফল্য যে কর্মী ও গ্রাহকদের গর্বের বিষয়, তা ব𓂃লাই বাহুল্য।
ICRA-র ভাইস প্রেসিডেন্ট আশায় চোকসি বলেন, কোভিডকালে স্থগিতাদেশ, এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ECLGS) এবং আমূল পুনর্গঠনের মতো পদক্ষেপের কারণে ব্যাঙ্কিং সেক্টর উপকৃত হয়েছে। যে ব্যাঙ্কগুলি মহামারীর আগে দুর্বল ক্যাপিটালাইজেশন এবং লোকসানে ডুবে ছিল, তারাও রিক্যাপিটালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পায়। আরও পড়ুন: SBI Annuity Deposit Scheme: মাসে মাসে নিশ্চিত সুদ! জানু☂ন এই বিশেষ স্কিম
আশায় চোকসি বলেন, বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলিও হেডলাইন অ্যাসেট কোয়ালিটি মেট্রিক্স এবং মুনাফায় দারুণ বৃদ্ধির রেকর্ড গড়ছে। কয়েকটি মাঝারি আকারের ব্যাঙ্ক বাদ দিলে সকলেই ভাল পারফর্ম করছ🐽ে।