সামনেই এসসিও সামিট। 'সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন'এ বারবার যে অপ্রচলিত শক্তি প্রসঙ্গ উঠবে তা বলাই বাহুল্য। সেই জায়গা থেকে রাশিয়ার ত🌃েলের ওপর জি সেভেনের যে 'প্রাইস ক্যাপ' বসানো রয়েছে তাও প্রাসঙ্গিক। তবে স♏েই প্রসঙ্গকে একধারে রেখে, দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে প্রয়োজনকে মাথায় রেখেই রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় অংশ নেয় ভারত।
ভরতের তরফে বিদেশ সচিব বিনয় কাওয়াতরা এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অপরিশোধিত তেল সম্পর্কীয় কূটনীতি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন। এসসিও সামিটে যোগ দিতে মোদীর উজবেকিস্তান রওনা হওয়ার আগে, ভারত জানায়, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা 'এনার্জি সিকিউরিটি'র প্রয়োজনের তাগিদে। জানানো হয় যে, ভারতের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান এই তেল কিনে থাকে, তারা চাদিদার প্রয়োজনীয়তার দিকে তাকিয়েই তা করে, এতে 'সরকার থেকে সরকার' সমঝোতার প্রসঙ্গ নেই। তিনি বক্তব্যের প্রথমেই জানিয়ে দেন, 'রেকর্ড রাখার জন্য জানিয়ে রাখি যে ভারত জি সেভেনের অংশ নয়'। এরইসঙ্গে তিনি জানান যে, 'মার্কেট প্রাইসিং', 'ডিসকাউন্ট' ইত্যাদি ফ্যাক্টরও বেশ কার্যকরী হয় এই ক্ষেত্রে। ভারতীয় সংস্থাগুলি বাজারের নিরিখে যে তেল আমদানি করে, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন বিদেশ সচিব। 'ডোন🍨্ট টꦓাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল' ইস্যু: টুইট মমতার, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর!
উল্লেখ্য, জি সেভেন প্রাইস ক্যাপের হাত ধরে, রাশিয়ার তেলের দামের নির্ধারণ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি কার্যত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। যা লাগু করতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। জাপান, ইউকে, আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির মতো দেশ এই জি সেভেনের আওতায় রয়েছে। ইউক্রেনে সদ্য রুশ হামলার নিরিখে রাশিয়ার তেল বিক্রি ইস্যুতে লাভের টাকা যাতে রুশ যুদ্ধে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই তেলের দাম নিয়ে এই উদ্যোগ নেয় জি সেভেনভূক্ত দেশগুলি। এদিকে, দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের আগে ভারত খুবඣ বিরল ক্ষেত্রে রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কিনত। তবে যুদ্ধের পর থেকে জি সেভেন প্রাইস ক্যাপের পরবর্তী সময়ে প꧂রিস্থিতি বদলায়। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বেশি কেনে ভারত। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর আমেরিকা ভারতকে চাপ দিয়েছিল যাতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সহ ছাড় দেওয়া জিনিসপত্র ভারত বেশি না কেনে। তবে ভারত জানিয়ে দেয় 'এনার্জি সিকিউরিটি' প্রয়োজনীয়তার ওপর সব বিষয়টি নির্ভর করছে।