দিনকে দিন মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে টমেটোর দাম বাড়ছে। রকেট গতিতে তা ১৫০ টাকা প্রতি কিলো থেকে বেড়ে ২০০ টাকার গণ্ডি ছুঁয়েছে টমেটোর দাম। এই পরিস্থিতিতে বাজারে টমেটো কার্যত আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে যাচ্ছে দামের দিক থেকে। এদিকে, দ꧂িল্লির এক টমেটো বিক্রেতার করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরলেন রাহুল গান্ধী।
যে ভিডিয়ো এদিন রাহুল গান্ধী শেয়ার করেছেন, সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক টমেটো বিক্রেতা তাঁর করুণ পরিস্থিতির কথা বলছেন। জানাচ্ছেন তিনি দিল্লির কোন এলাকার বাসিন্দা। এরপকরই দেখা যায়, সাংবাদিক বিক্রেতাকে প্রশ্ন করছেন, তাঁর সবজি বিক্রির অবস্থা নিয়ে। রাহুল বলছেন, ‘যেভাবে বাড়ছে দাম, তাতে আর কেউ টমেটো কিনছেন না।’ এরপর প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেন যে, বিক্রেতার ঠ্যালা গাড়ি কি এবার ফাঁকা যাবে? তিনি কি আ൲র কোনও সবজি তাঁর ঠ্যালা গাড়িতে তুলবেন না? এর জবাবে ওই বিক্রেতা বলেন, ‘ইতনা প্যায়সা নেহি হ্যায়’(এত টাকা নেই), যে তিনি আর বাদবাকি সবজি কিনে নিজের ঠ্যালা গাড়ি ভরবেন। একথা বলতে বলতেই চোখে জল এসে যায় বিক্রেতার। বলতে থাকেন, এই মুহূর্তে দেশের সব জিনিসেরই প্রায় দাম বেশি। এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনেন রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, ‘ধনী আর দরিদ্রের মাঝের এই ফারাককে মুছে দিতে হবে।’
( Rat Removing tips: বাড়িতে নেচে বেড়াচ্ছে ইঁদুর? তাড়িয়ে ফেলুন এ꧒ই ঘরোয়া উপায়ে)
উল্লেখ্য, টমেটোর দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, দেশে হু হু করে বাড়ছে হলুদের দাম। চলতি বছরে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে বর্ষণে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। তার ফলে সেই সময় হলুদের চাষাবাদে কিছুটা সমস্যা এসে দাঁড়ায়। এর জেরেই ফলনে কুপ্রভাব পড়েছে। যার ফলে হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করে দিয়েছে হলুদের। এদিকে, ভারতীয় হেঁশেলে হলুদ বไ্যাতীত রান্না ভাবা যায় না। নিরামিষ হোক কিম্বা আমিষ, যেকোনও পদেই হলুদ সবচেয়ে আগে জরুরি। মহারাষ্ট্রে প্রতি কুইন্টাল হলুদ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এপ্রিলে, তেলাঙ্গানা, তামিলনাড়ুতে ৭০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল হলুদের দাম। জানা যাচ্ছে, এপ্রিল ও মে মাসে ফসলে আর্দ্রতার যে কমতি থাকে, তা এবারে দেখা যায়নি। তার জেরেই এই পরিস্থিতি।