রাজস্থানের আজমেঢ়ের এক স্কুলে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি ধর্ষিতা হওয়ার কারণেই। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী এই অভিযোগ করে। উল্লেখ্য, গত বছর সে গণধর্ষণের শিকার হয়। তার অভিযোগ, ধর্ষিতা হওয়ায় তাকে স্ক🗹ুল পরীক্ষা দিতে দেয়নি। অভিযোগে, তিনি জানিয়েছেন, স্কুল বলছে, তার উপস্থিতি ‘পরিবেশ নষ্ট করবে’, তার জেরেই স্কুলের এমন সিদ্ধান্ত।
স্কুলের বিরুদ্ধে এই বড়💫সড় অভিযোগ গিয়েছে ‘শিশুকল্যাণ বিভাগ’ এর কাছে। ধর্ষণের শিকার এই ছাত্রী জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে সে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে চেয়ে অ্যাডমিট কার্ডের জন্য স্কুলের দ্বারস্থ। সেই পরীক্ষায় বসার অ্যাডমিট কার্ড স্কুল তাকে দেয়নি বলেও অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী। অভিযোগ স্কুল তাকে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে দেয়নি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য শিশুকল্যাণ কমিশনের তরফে প্রধান অঞ্জলি শর্মা জানিয়েছেন, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন এই অভিযোগ ঘিরে। জানা যাচ্ছে, গত বছর অক্টোবর মাসে নাবালিকা ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তারই কাকা ও ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে।♏ এই নারকীয় ঘটনার শিকার ছাত্রীকে এরপরই স্কুলের কিছু আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, তিনি যেন স্কুলে আর না আসেন। এমনই দাবি করেছে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী। তাঁকে বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালানোর কথা বলে স্কুল। স্কুলে এলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হবে বলে, স্কুল জানিয়েছিল বলে দাবি করছে অভিযোগকারী। অগত্যা স্কুলের নির্দেশ মেনে নাবালিকা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করছিল। তবে এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ডের পরীক্ষা দিতে গিয়ে স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড আনতে যায় সে। স্কুল তখন জানায়, তার নামে কোনও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। পাশাপাশি স্কুল এটাও জানায় যে, গত ৪ মাস ধরে তিনি স্কুলে এসে পড়াশোনা না করায়, তার নাম কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর দাবি, তার সহপাঠীদের অভিভাবকদের দাবির ভিত্তিতেই স্কুল এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার মতো এক করুণ পরিস্থিতির পর যেখানে সমাজকে পাশে পাওয়া খুব জরুরি, সেখানে সমাজের ভিত্তির অন্যতম স্তম্ভ স্কুলের তরফে এই পদক্ষেপ কার্যত ওই ছাত্রীর কাছে ছিল বড় ধাক্কা। শিশুকল্যাণ কমিশনের প্রধান অঞ্জলি শর্মা বলছেন, 'ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি আমি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সবার আগে মেয়েটির পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থার দরকার🎐।'