রামমন্দির উদ্বোধন হবে ২২ জানু্য়ারি। কিন্তু উন্মাদনা তৈরি হয়েছে এখনই দেশজুড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই বোধহয় ভারত হিন্দু রাষ☂্ট্র হিসাবে ঘোষণা হতে চলেছে। এবার এই রামমন্দির উদ্বোধনের বিষয়টি নিয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেল বার্তা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং হিন্দু স্বয়ংসেবক সংঘের উদ্যোগে রামের মহিমা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ৬০টি দেশে। সেখানে আফ্রিকার থেকে শুরু করে ইউরোপ আমেরিকার নানা প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী পশ্চিম এশিয়াতেও প্রচার করা হবে রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই প্রচার করে মোদীকে কি বিশ্বগুরু গড়ে তোলা হচ্ছে?
এদিকে দেশের মধ্যেও রামের মহিমা প্রচারের মাধ্যমে জনসংযোগ করতে চায় বিজেপি বলে খবর। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রচার কর্মসূচি চালানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। অখণ্ড🥂 হলুদ চাল ও আমন্ত্🌄রণপত্র নিয়ে পাঁচ লক্ষ গ্রাম এবং ১২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রামের ছবি–সহ মন্দিরের ‘রেপ্লিকা’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা ১–১৫ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি যাবেন। আর তাঁদের আমন্ত্রণপত্রের একদিকে থাকবে রামমন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের অনুরোধ, উল্টোদিকে থাকবে মন্দিরের বর্ণনা।
অন্যদিকে বিদেশের মাটিতেও হলুদ চাল নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে রামের মহিমা বার্তা। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে, ঘানা, তাঞ্জানিয়া, মরিশাস–সহ ১৮ দেশ, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ⭕–সহ ২০ দেশ, আমেরিকা, মেক্সিকো, কানাডা, ত্রিনিদাদ, জামাইকা, কলম্বিয়া–সহ ৯ দেশে পৌঁছে গিয়েছে হলুদ চাল। একইসঙ্গে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনায় যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। রামের প্রচার এবং ভারতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যে বাহরিন, আরব আমিরশাহি–সহ বেশ কয়েকটি দেশে প্রচার করা হবে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া꧋তে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র ও হলুদ চাল। এই কর্মসূচির কারণ হল, রামমন্দির উদ্বোধন এই দেশগুলি থেকে যাতে মানুষ এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখেন।
আরও পড়ুন: ‘সৌমিত্র দালালের বিদায় চাই’,♛ বর্ষশেষে বিষ্ণুপুরে সাংসদের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার
তবে এটা করার কী খুব যৌক্তিকতা ছিল? এই বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা বিদেশ বিভাগের প্রধান স্বামী বিজ্ঞানানন্দ এক সংবাদমাধ্যমে♓ বলেন, ‘রামমন্দিরের বিষয়টি বিদেশে বসবাস করেন যেসব ভারতীয় তাঁদের মধ্যে একটা উন্মাদনা আছে। আমরা সেই উন্মাদনাকে সম্মান করেই বিদেশে প্রচারের উপকরণ পৌঁছে দিয়েছি। তাঁরাও যাতে ওই দিনটি উদযাপন করেন।’ আর সংঘের প্রচারক বিপ্লব রায়ের কথায়, ‘ধর্ম যার যার, রাম সবার। রাম মন্দির উদ্বোধনের অর্থ রাম রাজ্যের সূচনা। যেখানে সুশাসন থাকে।’