আরজেডি বিধায়ক রীতলাল যাদব। এবার অদ্ভূত তত্ত্ব আনলেন তিনি। রামচরিতমানস নিয়ে তিনি রীতিমতো বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। বিহারের দানাপুরের আরজেডি বিধায়কের দাবি একটি মসজিদের মধ্য়ে রামচরিত মানস লেখা হয়েছিল। এদিকে এই মন্তব্যের পরে মারাত্মক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই বিধায়ক বিজেপির সমালোচনা করার সময় জানিয়েছিলেন, একটি মসজিদে বসে রামচরিতমানস লেখা হয়েছিল। তখন হিন্দুত্ববাদ সমস্যায় পড়েনি? যদি আপনারা মনে করেন আপনারা হিন্দুত্ব চান তবে সব মুসলিমকে দল থেকে বের করে দিন। তিনি বলেন, যখন ১১ বছর বয়সি মুসলিম কন্য়া ভগবৎ কথা শোনায় আর পুরস্কার পায় তখন লোকজন সব কোথায় যায়। তারা তো তাকেই দেখেন। তখন কেন বিজেপির লোকজন ওই মুসলিম মেয়েটার সম্পর্কে বলেন না। তবে আরজেডি বিধায়ক এই অভিযোগ তুললেও এনিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করছে না জেডিইউ। কার্যত এনিয়ে নীরবতা বজায় রাখছে তারা। তবে বিধায়কের এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সনাতন ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ওই বিধায়ক। বহু প্রাচীন এই ধর্ম। এই ধর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার অর্থ হল এই সম্পর্কে কিছু না জানা। রামচরিত মানস নিয়ে যারা কথা বলছেন তাদের এনিয়ে জ্ঞান থাকা দরকার। এদিকে বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। কীসের ভিত্তিতে তিনি একথা জানিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে বিজেপিও এনিয়ে পালটা তির ছুঁড়তে শুরু করেছে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে বিহারের শিক্ষামন্ত্রীও রামচরিতমানস নিয়ে নানা ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন রামচরিতমানস সমাজের ঘৃণা ছড়ায়। এই ধরনের বই সমাজকে ভাগাভাগি করে দেয়। ১৬ শতকে তুলসীদাস রামচরিতমানস রচনা করেছিলেন। আর সেই রামচরিতমানসের রচনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিহারের আরজেডি বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দুত্বরাজ, আপনারা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছেন। আর কতদিন ধরে এসব চলবে। একটা সময় ছিল যখন রাম মন্দির নিয়ে মানুষ আলোচনা করত। তিনি বলেন, যখন রামচরিতমানস রচনা করা হয়েছিল তখন এটি মসজিদের মধ্য়ে রচনা করা হয়েছিল। তখন হিন্দুত্ব বিপন্ন হয়নি? মুঘল আমলে আমাদের হিন্দুত্ব বিপদে পড়েনি? সেই সঙ্গেই বিজেপিকে নিশানা করেও তির ছুঁড়েছেন তিনি।