ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত উপ বিচারপতি রাজেশ কুমার অবরোলকে কাজ থেকে বরখাস্ত করল জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। এক মহিলা মামলাকীরকে ধর্ষণ ও প্রতারণা করার অভিযোগে ওই বিচারপতিতে গত ২৩শে অক্টোবর ১০বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত ওই মহিলা ২০১৮ সালে ওই আদালতেই বিবাহ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচার চাইতে এসেছিলেন। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে লেফটেনান্ট গভর্নর সিভিল জাজের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কারের ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে। প্রসঙ্গত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ওই বিচারপতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। আদালতের প্রিসাইডিং অফিসার তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত এই উপসংহারে আসা গিয়েছে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ওই অভিযুক্তের দোষকেই নির্দেশ করছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রভাবশালী ব্যক্তির আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার ছিল। এদিকে ওই নির্যাতিতা মহিলা রম্বানের বাসিন্দা। জম্মুর লোয়ার রূপনগরে তাঁর সঙ্গে ওই বিচারকের দেখা হয়েছিল। জুডিসিয়াল অফিসার হিসাবে তিনি আইনগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এমনকী অন্যান্য দিক থেকেও সহায়তার আশ্বাস তিনি দেন। এদিকে ওই মহিলা এরপর ওই বিচারকের বাড়িতে কাজ নেন। ৫ হাজার টাকা বেতন দেবেন বলেও বিচারপতি কথা দেন। এমনকী মহিলার মেয়ের শিক্ষারও তিনি বন্দোবস্ত করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এদিকে কিছুদিন পরে মহিলার বাড়ির লোকজন তাকে কাজ ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তখন বিচারপতি জানান, আমার স্ত্রীর সঙ্গে সাত বছর সম্পর্ক নেই। ওই মহিলাই এখন আমার স্ত্রী। এরপরই তার সঙ্গে সহবাস করা শুরু করেন তিনি। এদিকে বিয়ের একবছর পরে মহিলা জানতে পারেন ওই ব্যক্তির আরও একজন স্ত্রী রয়েছে। তারপরই বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।