ভোটের ‘লড়াইয়ের’ আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে ছড়𒁏িয়ে পড়ল ‘মৈত্রী’-র বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজে সামিল হল পশ্চিমবঙ্গের ‘সবুজসাথী’ ট্যাবলো। যে প্রকল্পকে ক💃িনা নিজের সরকারের সাফল্য হিসেবে বারবার তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো ছিল না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতী๊য় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সংঘাতের আবহে ট্যাবলোর বিষয় নিয়ে রাজ্যের তরফে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তা কেন্দ্রের ছাড়পত্র পায়নি। তিনটি বিষয় ছিল - ‘কন্যাশ্রী’ ‘সবুজশ্রী’ এবং ‘জল ধরো জল ভরো’। সবগুলিই একেবারেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প। বিশেষত আগেও একাধিকবার দিল্লির রাজপথে ‘কন্যাশ্রী’-র ট্যাবলো হাজির করানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু কোনওবারেই কেন্দ্রের ছাড়পত🐟্র মেলেনি।
সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ‘সবুজসাথী’-র বিষয়ে বাংলার ট্যাবলো দেখা গিয়েছে। সঙ্গে বেজেছে 'আমরা যৌবনের দূত' গান। ‘সবুজসাথী’ প্রকꦐল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছেন মমতা। বিভিন্ন জনসভাতেও ‘সবুজসাথী’-র ‘সাফল্য’ তুলে ধরেছেন। রাজ্যের দাবি, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ‘সবুজসাথী’ সাইকেলের ভূমিকা নেহাত কম নয়। তারইমধ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে🐬র আগে জাতীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রকল্পের ট্যাবলো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল পড়ে গিয়েছে।
তবে দিল্লির রাজপথে পশ্চিমবঙ্গের ‘সবুজসাথী’ ট্যাবলো দেখে অবাক নন রাজনৈ🧜তিক মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ‘সবুজসাথী’ ট্যাবলো যদি খারিজ করে দেওয়া হত, তাহলে অহেতুক মমতার হাতে ‘প্রতিহিংসা’-র অস্ত্র তুলে দেওয়া হত। পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গে যে দলের বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াই, তাদের ‘সবুজসাথী’ ট্যাবলোর ছাড়পত্র দিয়ে বরং মোদী সরকার বার্তা দিতে পারল, রাজনৈতিকভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না কেন্দ্র সরকার। দল নির্বিশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।