ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন , বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্য়ে ভারতের উদ্দেশে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা। বুধবার ভারত সরকারের প্রতি বার্তায় বিভিন্ন 𓃲দেশের নেতারা জানিয়েছেন তাঁদের বক্তব্য। এরই মধ্যে আলাদা করে নজর কেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি টুইটারে একট♚ি হিন্দিতে নিজের শুভেচ্ছা বার্তা জানান।
উল্লেখ্য, এক ভিডিয়ো মেসেজে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তুলে ধরেন এক কাকতালীয় ঘটনা। ২৬ জানুয়ারি যখন ভারত প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করছে, তখনই আবার অস্ট্রেলিয়াতে পালিত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া দিবস। এই 🐟দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা ভারতকে শুভেচ্ছ𝔍া জানিয়ে হিন্দিতে 'গণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা' বার্তাটি লেখেন স্কট মরিসন। তিনি বলেন,'আমাদের (দুটি দেশের) অনেক কিছুতেই মিল রয়েছে। বিশেষত আগামী দিনের পথ চলায়।' পাশাপাশি ইন্দো পেসিফিক এলাকায় যাতে শান্তি ও স্বাধীনতা বজায় থাকে তার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে একসাথে এগিয়ে যেতে চায় বলেও দ্বিপাক্ষিক উন্নততর সম্পর্কের বার্তা দিয়েছেন স্কট মরিসন। এছাড়াও তাঁর টুইট বার্তায় হ্যাশট্যাগে তিনি রাখেন ‘দোস্তি’ (বন্ধুত্ব) শব্দটিকে
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর বার্তায় জানান, ' প্রজন্ম ধরে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ, একসঙ্গে পার করা হয়েছে আধুনিক জীবনের বহু চ্যালেঞ্জ।' একই সঙ্গে তিনি জানান, ব্রিটেনের তরফে ভারতকে জানানো হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবসের 🃏হার্দিক শুভেচ্ছা। যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়, সেদিকে লক্ষ্য নিয়েই দুটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি নিজের বার্তায় জানিয়েছেন। বরিস জনসন তাঁর বার্তায় জানান, 'দুটি ভিন্ন ঘরানার গণতন্ত্রের মধ্যে এই বন্ধুত্ব নিয়ে আমি গর্বিত।' এক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্যিক স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলে দুই দেশের যৌথ চেষ্টার অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রা জেনেকা ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি জানান, 'আগামী ৭৫ বছর ও তার পরের সময়ের সাফল্যে'র দিকে তাকিয়ে, দুই দেশের মানুষ ও অর্থনীতির উন্নতির পথ চেয়ে এই বন্ধুত্বের গভীরতাকে তিনি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানান প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। 'গত কয়েক বছরে দু দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, বিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ও প্রসারতা পেয়েছে।' এই প্রসঙ্গে ফের একবার শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম বার্ষিকীতে গত ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ তুলে 'মৈত্রী দিবস' উদযাপনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। হাসিনা বলেন, ' আগামী ৫০ বছর ও তার পরে এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে' ভারত ও বাংলাদেশ যে দৃষ্টি ভঙ্গি রেখেছে, তা দিল্লির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ঢাকাও। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ শাহিদও এদিন ভারতকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান। ঐতিহাসিক সূত্র ধরে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সেদেশ , বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ শাহিদ।