১৯৮৮ সালের মামলায় একবছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুকে। এই আবহে গতকালই পাতিয়ালার এক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তবে হাজতে কাটানো প্রথম রাতে অন্ন গ্রহণ করলেন না সিধু। জানা গিয়েছে, সিধু এদিন শুধু নিজের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এক বছর মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ টাকা আয় করবেন সিধু। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে যে বিক্রম সিং মাজিথিয়🐷ার বিরুদ্ধ😼ে সিধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেই শিরোমণি অকালি দল নেতাও এই একই জেলে রয়েছেন। তিনি একটি মাদক মামলায় হাজতে রয়েছেন। যদিও একই ব্যারাকে রাখা হয়নি দুই নেতাকে।
হাজতে সিধুর প্রথম রাত প্রসঙ্গে এক কারা কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, সিধু দাবি করেন যে তিনি ইতিমধ্যেই খেয়ে নিয়েছেন এবং শুধু ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি কারা বর্তা আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তাঁর জন্য বিশেষ কোনও খাবার নেই। কোনও চিকিৎসক বিশেষ ক🎉োনও খাবারের পরামর্শ দিলে জেলের ক্যান্টিন থেকে তা তিনি কিনতে পারবেন বা নিজে রান্না করতে পারবেন।’
এর আগে শুক্রবার সিধু আত্মসমর্পণের জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। তাঁর শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে এই সময় চেয়েছিলেন সিধু। তবে এরপর গতকালই বিকেল ৪টে নাগাদ পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর সিধুকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মাতা কৌশল্য🍸 হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে তাঁর ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সিধুর মিডিয়া উপদেষ্টা সুরিন্দর ডাল্লা জানান, সিধু লিভারের সমস্যায় ভোগেন। তাছাড়া রক্ত জমাটের সমস্যায় ভোগেন এই কংগ্র💦েস নেতা। এর জন্য তাঁকে সব সময় পায়ে এক ধরনের প্লাস্টিক ব্যান্ড পরে থাকতে হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ‘রোড রেজ’ মামলায় নভজ্যোত সিং সিধুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৯ মে এই রায় শোনায় শীর্ষ আদালত। প্রায় ৩৪ বছর আগে এক পথ দুর্ঘটনায় গুরনাম সিং নামক এক ব্যক্তিকে মেরেছিলেন সিধু। সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপর সিধুর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় তিন বছরের সাজা শোনানো হয়েছিল। পরে সেই সাজা কমিয়ে ১০০০ টাকার জরিমানা করা হয়। পরে প্রাক্তন ক্রিকেটারকে খালাস করা হয়। ২০১৮ সালে সিধুর সাজা কমানো হলে মৃ♛তের পরিবার সিধুর বিরুদ্ধে ‘খুনের’ মামলা করার আবেদন জানান। সেই মামলꩵার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট সিধুকে সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।