বিদেশিদের মতো দেখতে হলেই, কেউ বিদেশি হয়ে যান না। নাম-রুপ, জাতীয়🌜তার প্রমাণ নয়। ভারতীয় হয়েও বিদেশিদের মতো ব্যবহারের সম্মুখীন হয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন রাসকিন বন্ড। একজন বিখ্যাত লেখক তিনি, লিখেছেন 'দ্য রুম অন দ্য রুফ', 'দ্য ব্লু আমব্রেলা' এবং অ্যাংরি রিভারের মতো বই। পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণে সম্মানিত এই ভারতীয় লেখ﷽ক দেখতে অনেকটা বিদেশিদের মতন। তাই তাঁকে ভারতীয় মন্দিরে ঢুকতে গিয়েও হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল। সম্প্রতি, সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এমনই একটি ঘটনার কথা খুলে বলেছেন বন্ড, যা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
ওড়িশার বিখ্যাত কোনারক সূর্য মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে, এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল লেখককে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিদেশী বলে মনে করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ পর্যটন স্থান দুই ধরণে🌞র ফি নেয়। একটি ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এবং অন্যটি বিদেশী নাগরিকদের জন্য। ভারতীয় নাগরিকদের তুলনায় বিদেশি নাগরিকদের, মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে বেশি টাকা দিতে হয়। আর এই বিদেশি নিয়মের ফাঁদেই পড়েছিলেন বন্ড।
রাসকিন বন্ড পৌঁছেছিলেন কোনার🌸্ক সূর্য মন্দিরে। এখানে মানুষ তাঁকে বিদেশী মনে করে বসেছিলেন। মন্দিরের কর্মকর্তারা তাঁকে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিশেষ একটি টিকিট নিতে বলেছিলেন।
রাসকিন বন্ড তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। জানিয়েছিলে﷽ন, তিনি ভারতের বাসিন্দা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মকর্তারা তাঁর কথা শোনেননি। এরপর তর্ক এড়াতে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের জন্য টিকিট কিনে নিয়েছিলেন যদিও।
কিন্তু সেই আক্ষেপ এখনও রয়ে গিয়েছে লেখক বন্ডের মনে। কারণ এদিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বন্ড আরও বলেছিলেন যে, ওই মন্দিরে ঢোকার মুখে তাঁর পেছনে একজন সর্দার দাঁড়িয়ে ছিলেন। যার ব্রিটিশ পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশি নাগরিকদের জন্🍸য টিকিট কিনতে বলা হয়নি। কারণ তাঁকে একেবারেই বিদেশিদের মতো দেখতে ছিল না।
প্রসঙ্গত, ৯০ বছর বয়সী রাসকিন বন্ড ১৯৩৪ সালে হিমাচল প্রদেশের কাসাউলিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা-মা ছিলেন ব্রিটিশ। বন্ড সর্বদা নিজেকে একজন ভারতীয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বহু বছর ধরে ভারতে বসবাসও করছেন। এর আগে𝓀, বন্ড বলেছিলেন যে তিনি কেবল জন্মগতভাবে নয়, পছন্দের নিরিখেও একজন ভারতীয়। তিনি ৫০০ টিরও বেশি ছোটগল্প, প্রবন্ধ এবং উপন্যাস লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য ৬৯টি বই। পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ ছাড়াও, তিনি জন লেভেলিন রাইস অ্যাওয়ার্ড এবং সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার সহ অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।