ভোটমুখী রাজস্থানে ফের একবার চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। সেখানে সোমবারই গেহলোট মন্ত্রিসভার মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢ়াকে ছাঁটাই ঘিরে তুলকালাম দেখা যায়। রাজস্থান বিধানসভার অন্দরে তিনি লাল ডায়েরি তুলে ধরে দাবি করেন, তাতে রয়েছে সমস্ত অবৈ🎉ধ লেনদেনের হিসাব। তাঁর দাবি ঘিরে রাজস্থান বিধানসভায় তোলপাড় হয়। তারফলে শেষমেশ অধিবেশন মুতলুবির ডাক দেন চেয়ারম্যান।
এদিকে, রাজস্থান মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢ়া দাবি করেন, প্রায় ৫০ জন তাঁর ওপর ‘হামলা করেন ও তাঁকে বিধানসভা থেকে হিঁচড়ে’ বের💞 করে দেন। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই হয়েছেন রাজেন্দ্র গুঢ়া। এদিন রাজস্থান বিধানসভায় তাঁর দাবি ঘিরে তুমুল হইহট্টোগোলের পর তিনি বলেন,'অন্তত ৫০ জন আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে ঘুষি মারা হয়, লাথি মারা হয়। আর কংগ্রেস বিধায়করা আমাকে বিধানসভা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নেন।' এছাড়াও তাঁর দাবি, রাজস্থান বিধানসভার চেয়ারম্যান তাঁকে বলতেই অনুমতি দেননি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে, রাজস্থানে একই পরিবারের ৫ জনকে খুন করে অগ্নিদগ্ধ করার ঘটনা নিয়ে সেখানের বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক দিব্যা মাদারনা। তবে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে সেই কংগ্রেস বিধায়ক দিব্যাকেও বিধানসভায় বলতে দেওয়া হয়নি বলে দিব্যা দাবি করেন। এর পরই সামনে এল রাজেন্দ্র গুঢ়ার ঘটনা। রাজেন্দ্র গুঢ়া বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে আমি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমি জানতে চাই আমার দোষ কী?’ উল্লেখ্য, এর আগে, শুক্রবারই কংগ্রেসের অশোক গেহলোট মন্ত্রিসভা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে রাজেন্দ্র গুঢ়াকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় কংগ্রেসকেই কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে। এরপর তিনি লাল ডায়েরি নিয়ে স্পিকার সিপি যোশীর দিকে বিধানসভায় এগিয়ে যান। তখনই শুরু হয় বাক বিতণ্ডা। সব মিলিয়ে রাজস্থানে তৈরি হয় তুলকালাম পরিস্থিতি।
এদিকে, বিধানসভার সূচনার আগেই রাজেন্দ্র গুঢ়া এদিন সকালে জাবি করেন যে তিনি ওই লাল ডায়েরির ভিতরে যা রয়েছে, তা সকলের সামনে আনবেন। এদিকে, সোমবার রাজস্থান বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্🦹ডের পর রাজেন্দ্র গুঢ়া দাবি করেছেন যে তিনি সকলের সামনে ওই লাল ডায়েরিতে থাকা সমস্ত গোপন কথা ফাঁস করে দেবেন। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ওই লাল ডায়েরিতে রয়েছে অꦓশোক গোহলোট ও তাঁর ছেলে বৈভবের নামও। কোন বিধায়ককে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব নিকেশ ওই ডায়েরিতে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।