টানা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোপওয়ের ঝুলন্ত কেবিনে আ🍃টকে ছিলেন শৈলেন্দ্র কুমার যাদব। বেঁচে ফিরেও এখনও চোখেমুখে আতঙ্ক কাটেনি। উদ🦋্ধার হওয়ার পর নীচে নেমে বলে উঠলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন পুনর্জন্ম হল।’
সম্প্রতি বিহারে ঘুরতে এসেছিলেন শৈলেন্দ্র। রবিবার বিকেলে দেওঘরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে চেপে বসেন শৈলেন্দ্র। তখনও জানেন না, তার জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে রোপওয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যে সব পর্যটকরা আটকে পড়েন, তাঁদের মধ্যে শৈলেন্দ্রও ছিলেন। অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি সেনাবাহিনীর পক্ষে। মাথার ওপর খোলা আকাশ ও নীচে গভীর অরণ্য, এই নিয়েই ঝুলন্ত অবꦫস্থায় কাটিয়ে দেন শৈলেন্দ্র। এরপর দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুসেনার ২টি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার উদ্ধারকার্যে নামে। উদ্ধারকাজে হাতে লাগায় আইটিবিপি ও এনডিআরএফের টিমও। শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই নীচে নামতে সক্ষম হন শৈলেন্দ্র।
নীচে নেমে আসার পর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শৈলেন্দ্র জান🧸ান, ‘একটা চেয়ারের মধ্যে আটকে ছিলাম। সারারাত জেগে ছিলাম। এক ফোঁটা জলও পাইনি। সত্যি কথা বলতে কী, মꦡনে হচ্ছে যেন আমার পুনর্জন্ম হল।’