মহিলা কর্মীদের নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) নয়া নির্দেশিকায় তৈরি হল বিতর্ক। যে নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও মহিলা কর্মী তিন মাসের বেশি অন্তঃসত্ত্ꦿবা হলে তাঁকে ‘সাময়িকভাবে আনফিট’ বলে বিবেচনা করা হবে। প্রসবের চার মাস পরে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেন। তা নিয়ে ইতিমধ্যে এসবিআইকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
সম্প্রতি নয়া কর্মী বা পদোন্নতি হওয়া কর্মীদের জন্য মেডিকেল ফিটনেস সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। গত ৩১ ডিসেম্বরের তারিখে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও কর্মী যদি তিন মাসের কম অন্তঃসত্ত্বা হন, তাহলে তাঁকে 'ফিট' বলে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু যদি কোনও কর্মী তিন মাসের বেশি অন্তঃসত্ত্বা হন, সেক্ষেত্রে তাঁকে ‘সাময়িকভাবে আনফিট’ বলে বিবেচনা করবে কর্তৃপক্ষ। প্রসবের চার মাস পরে তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেন। যে নয়া নিয়ম আগ𓂃ামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে।
ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ‘মহিলা বিরোধী’ সেই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে 'অল ইন্ডিয়া স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ'। সংগঠনের তরফে এসবিআইকে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জ෴ানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কে কে কৃষ্ণ। অবিলম্বে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখেছেন সিপিআইয়ের রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম। তিনি দাবি করেছেন, ‘মহিলাদের অধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করা হচ্ছে।’
তবে এই প্রথম এরকম নির্দেশিকা জারি করল না এসবিআই। ২০০৯ সালেও একইরকম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রবল বিতর্কের মধ্যে স🍸েই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়🔯েছিল ব্যাঙ্ক। বর্তমানে একাধিক শর্তে ছ'মাস পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কর্মীরা ব্যাঙ্কে যোগ দিতে পারেন। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের থেকে ‘ফিট সার্টিফিকেটের’ প্রয়োজন হয়।