বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় অবমাননার কেস-এ শেষমেশ স্বস্তি পেলেন যোগগুরু রামদেব ও পতনঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের এমডি আচার্য বালাকৃষ্ণ। তাঁদের নিঃশর্ত ক্ষমা গ্রহণ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে এই মামলা তাঁদের বিরুদ্ধে বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়াও তাঁরা কোর্টকে আশ্বস্ত করেছেন যে, কোনও ধরনের বিভ্র🐬ান্তিকর বিজ্ঞাপন থেকে পতঞ্জলি বিরত থাকবে।
উল্লেখ্য, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় শীর্ষ আদালতের কাছে বারবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব ও বালাকৃষ্ণ। তাঁরা দেশের বিভিন্ন তাবড় সংবাদপত্রে এই ক্ষমা প্রারജ্থনা প্রকাশও করেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিমা কোহলি ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ সেই ক্ষমাপ্রকাশ গ্রহণ করে নেন। তবে তার সঙ্গেই তাঁরা কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, এই মামলা আবারও উত্থাপন হতে পারে, যদি তাঁরা শর্ত না মানেন। এর আগে, পতনঞ্জলি নিজের পণ্যের বিজ্ঞাপনি প্রচার ঘিরে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। IMA-এর পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই মামলায় এর আগে একাধিক শুনানি হয়েছে। সেখানে আধুনিক ওষুধ সম্পর্কে যোগগুরু রামদেব একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, বিশেষত কোভিড ১৯ এর মতো বিষয়ে দায়িত্বশীল বক্তব্যের ওপর জোর দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, নিজের প্রচারে কোভিডকালে একটি ওষুধকে অব্যর্থ বলে প্রচার করার অভিযোগ ছিল পতনঞ্জলির বিরুদ্ধে। পতনঞ্জলির সেই দাবি ঘিরে বিজ্ঞাপনে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পর আদালতে বালাকৃষ্ণ ও রামদেবকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়। তাঁরা তা করেননি। এরপরই হয় পদক্ষেপ।
( Bangladesh Hindus: বাংলাদেশে জোরদার হচ্ছে হিনဣ্দুদের আন্দোলন, জন্মাষ্টমীর আগে নিরাপত্তা নিয়ে বড় নিরℱ্দেশ শাখাওয়াতের)
এই মামলায় আইএমএ পতনঞ্জলির প্রেস কনফারেন্সের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ আদালতে জমা দেয়। আদালত পতঞ্জলিকে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য উপদেশ দিয়েছে যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংস্থার থꩵেকে একটি লিখিত নেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনও মতেই কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেবে না। গুরুতর আইনি পরিণতির সম্ভাবনার সম্মুখীন হয়ে, রামদেব এবং বালাকৃষ্ণ তাঁদের কর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একাধিক হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, যা বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় দুবার প্রকাশিত হয়েছে।