আব্রাহাম থমাস
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসন্তোষ’ তৈরির জন্য মন্তব্য করেছিলেন। 🔴সেই অভিযোগে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয় ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ কানমুরী রঘুরামা কৃষ্ণম রাজুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে দু'দফায় ৫০,০০০ টাকা করে জামিনের অর্থ দিতে হবে।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নোটিশ দিতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দূরত্ব বজায় রেখে রাজুর আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন। 🤡তবে রাজ্য সরকারের আর্জির ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার উপর সাংসদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তদন্তে সাংসদকে সহযোগিতা করা এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ মে রাজুক🌠ে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। পরদিন আদালতে রাজুর পায়ে আঘাতের বিষয়টি নজরে আসে ম্যাজিস্ট্রেটের। রাজু দাবি করেন, হেফাজতে তাঁকে মারধর করেছে পুলিশ। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় রাজ্য। তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল দলও দাবি করে, রাজুর পায়ে কোনও চোট-আঘাত নেই। যদিও সেকেন্দ্রাবাদের সেনা হাসপাতালের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের ভিত্তিতে শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানতে পারে যে সাংসদের পা ভেঙে গিয়েছে এবং পায়ে আঘাত আছে। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের অবসরকালীন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্👍ছে যে হেফাজতে থাকাকালীন রাজুর সঙ্গে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা দায়েরের কারণ স্বপক্ষে সিআইডি দাবি করেছে, অতীতে অপর একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে মারধর এবং খুনের জন্য নাকি একটি সম্প্রদায়, ধর্ম বা বর্ণের মানুষকে উস্কানি দিয়েছিলেন সাংসদ। তবে র⭕াজুর আইনজীবী মুকুল রোহতগির দাবি, করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সমালোচনার করার জন্য সাংসদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চাপানো হয়েছে।