দেশের ২০ টি ভাষায়, ১০ হাজার স্কুলগুলের ৮৬ হাজার পড়ুয়ারা যারা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে, তাদের ওপর সমীক্ষা হয়। দেখা গিয়েছে এই সংখ্যক পড়ুয়ার𝓰 ৩৭ শতাংশের প্রাথমিক অঙ্কের জ্ঞানের কদক্ষতা নেই। ১১ শতাংশ তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার প্রাথমিক জ্ঞান ও দক্ষতা যা থাকা দরকার তাও নেই বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা।
‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ এর আওতায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। ‘ফাউন্ডেশন লার্নিং স্টাডি ২০২২’ শীর্ষক রিপোর্টে এই সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একাধিক প্রশ্নপত্রের মুখে এই পড়ুয়াদের রাখা হয়। তার উত্তরের ভিত্তিতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। পড়ুয়াদের চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের মৌলিক স্বাক্ষরতা ও গাণিতিক জ্ঞানের বিভিন্ন দিক। গাণিতিক জ্ঞানের দিক থেকে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের যোগ, বিয়োগ, সংখ্যা চেনা সংক্রান্ত নানান প্রশ্ন দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের ১১ শতাংশ তার প্রাথমিক বিষয়টিই সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ৩৭ শতাংশ বেসিক গ্রেড লেভেল আংশিক পূরণ করতে পেরেছে। ৪২ শতাংশ এতে সফল। দেখা গিয়েছে ১০ শতাংশের মধ্যে দারুণ ভালো দক্ষতা রয়েছে এই বিষয়ে। এই কয়েকটি লক্ষণ বলে দেয় হার্টের অবস্থা ভালো নয়, অজান্ত♔ে ঘটতে পারে বিপদ!
প্রাথমিক অঙ্কের জ্ঞানের নিরিখে ব্যর্থ তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে তামিলনাড়ু। সেখানে ২৯ শতাংশের মধ্যে এই বিষয়ে দুর্বলতা দেখা গিয়েছে। এরপর রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, অসম , গুজরাত। ইংরেজি ভাষায় ৩০ শতাংশের 'সীমাবদ্ধ জ্ঞান' রয়েছে। ১৫ শতাংশ বেসিক গ্রেড লেভেল শেষ করতে পারেনি। শুধু ২০ শতাংশ সফল হয়েছে এই গ্রেড লেভেল শেষ করতে। হিন্দিতে ২১ শতাংশের দক্ষতা প্রাথমিকভাবে নেই। বাংলাভাষায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের দক্ষতার দিক থেকে পিছিয়ে ১৯ শতাংশ। এই সমীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘এমন একটি ধরণের গবেষণা বিশ্বে প্রথম।’ এভাবে বেঞ্চমার্ক তৈরি করতে ২০ টি ভাষায় এমন সমীক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করেন ধর্মেন্দ্র ☂প্রধান।