পলাতক ধনকুবের বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল সেবি। বাজারের অন্য়তম নিয়ন্ত্রক সেবি এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে । অন্তত তিন বছরের জন্য় তাকে বয়কট করা হল। ওই ব্যক্তি একাধিক বিদেশি অর্থনৈতিক শক্🎃তিকে ব্যবহার করে নিজের কোম্পানির লাভের অঙ্ক বৃদ্ধি করতে চাইছেন ও অর্থকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এমনকী ভারতে তার যত স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে সবই ফ্রিজ করে দেওয়🃏া হয়েছে। সেই সঙ্গেই ভারতের কোনও কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবে তিনি যাতে থাকতে না পারেন তার🌠 ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
সেবির তদন্তে উঠে এসেছে যে মালিয়া তার নিজের পরিচয়কে লুকিয়ে বিদেশের বিভিন্ন আর্থিক এজেন্টকে কাজে লাগিয়ে ভারতের বাজার থেকে টাকা লুঠতে চাইছেন। ওই সব এজেন্টদের নাম করেই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েꦫছে।
তবে এই সব লেনদেনের মাধ্যমে আখেরে লাভ হচ্ছে বিজয় মালিয়ার। এই সব প্রতারণামূলক লেনদেনের মাধ্য়মে প্রায় ৫.৭ মিলিয়ন ডলার তিনি নিজের দিকে টেনে ন🐻িয়েছেন বলে খবর। সেবির FII নীতিতে একটি নির্দিষ্ট রুটে ভারতের বাইরে যারা বাস করেন তারা ভারতের আর্থিক লেনদেনে অংশ নিতে পারেন। আর সেবি জানতে পারে যে একটি নির্দিষ্ট পথের মাধ্য়মে বিজয় মালিয়া ভারতের আর্থিক লেনদেনের মধ্য়ে ঢুকে পড়তে চাইছেন।
এদিকে আগের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে কালো টাকা বিদেশ থেকে উদ্ধার করে আনা হবে বলে বার বার দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকদের ধরতে বিদেশে যাওয়ার তোড়জোড় করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্পেশাল টিম। প্রতিরক্ষা ডিলার সঞ্জয় ভান্ডারি, হীরের ব্যবসায়ী নীরব মোদী, কিংফিসারের তৎকালীন মালিক বিজয় মালিয়ারা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন বলে খব꧅র।
এবার তাদের নাগাল পেতে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজ🌊েন্সি।
সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক এই টিমে꧃র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে মিটিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই সব পলাতকদের সম্পর্কে জানতে তাদের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত লেনদেন সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজꦛখবর শুরু করা হয়েছে।
সিবিআই মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, এটা মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০২৩ সালে ২৪জন 🐭ক্রিমিনালকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই কাজ করা হয়েছে। এরপর ভারতের পক্ষ থেকে সব মিলিয়ে ১৮৪জন ক্রিমিনালকে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে ফেরত আনার জন্য় চিহ্নিত করা হয়েছে। এব্যাপারে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।