দু'বছর আগে ত্রিপুরার ফেনী নদীর উপর তৈরি হয়েছিল মৈত্রী সেতু, যা ভারত বাংলাদেশকে সংযুক্ত ক🎃রেছে। আর এবার দুই দেশের সংযোগকারী দ্🎀বিতীয় সেতুটি হতে চলেছে অসমের করিমগঞ্জে। বাংলাদেশের সিলেটে চলছে তিনদিনের সিলেট–শিলচর উৎসব। শুক্রবার সেই উৎসবের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানান বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, এই সেতুটি ভারতের করিমগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের জকিগঞ্জকে যুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে মৈত্রী সেতু, ত্রিপুরা সফরে রাষ্ট👍্♉রপতি
এই সেতু নির্মাণ করা হবে কুশিয়ারা নদীর উপরে। এরজন্য সরকারি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেতু তৈরির বিষয়ে সমীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই সেতু নির্মাণ হলে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ যেমন উন্নত হবে, তেমনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। এর আগে ফেনী নদীর উপরে সাব্রুম–রামগড় মৈত্রী সেতু ২০২১ সালে উদ্বোধন করা হয়। দুমাস আগে সেতুটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আব্দুল মোমেন জানান, এই সেতু চালু হওয়ার ফলে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। দ্বিতীয় সেতুটি তৈরি হলে যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। সিলেট এবং শিলচরের মধ্যে বাস চালানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে রাস্তার ⛎কিছু সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা মিটে গেলে দুই দেশের মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
এদিন অসমের শিলচরে ভিসা অফিস করার জন্য আবেদন জানায় অসমের নাগরিক অধিℱকার রক্ষা কমিটি। যদিও সে বিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। তবে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে 🅘জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ভিসাহীন যাতায়াতের পক্ষপাতী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহ। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাইছি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অবাধ যোগাযোগ গড়ে উঠুক।’ যদিও সে বিষয়ে কোনও রকমের মন্তব্য করতে চাননি ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মৈত্রী সেতুটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম শহর এবং বাংলাদেশের পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৩৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৯ই মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ💖 হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে সেতুটির নাম দেওয়া হয় মৈত্রী সেতু।