মারাত্মক দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। ভয়াবহ দূষণের ফলে রাজধানীর বাতাস কার্যত বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই দূষণ রুখতে এবং মানুষকে সুরক্ষিত করতে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। তারপরেও কোনওরকমের সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। প্রতিবছর শীত পড়লেই দিল্লি𝐆তে এরকম ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায় দূষণ। এমন অবস্থায় দিল্লিতে রাজধানী থাকা উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি শহরটিতে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বসবাসের অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: কী অবস্থা রাজধানীতে! দূষণ রুখতে 🌼কেন দেরি করছেন? সুপ্রিম কোর্টের ধমকের মুখে দিল্লি সরকার
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর সোমবার দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘দিল্লি নভেম্বর থেকে জানুয়াꦍরির মধ্যে বসবাসের অযোগ্য বায়ুর গুণগত মানের কারণে।’ সুইস এয়ার কোয়ালিটি টেকনোলজি কোম্পানি আইকিউএয়ারের বাতাসের গুণমান (একিউআই) উদ্ধৃত করে থারুর লিখেছেন, ‘দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর।’ এনিয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই দুঃস্বপ্নের মধ্যে থেকেও সরকারের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এই নিয়ে আজ পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকার তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ খারাপ। এটা দুর্ভাগ্য যে সরকার কিছুই করেনি।’
কংগ্রেস সাংসদ আরও লেখেন , তিনি ২০১৫ সাল থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর সেই উদ্যোগে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি লেখেন, ‘এই শহরটি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত🌳 বসবাসের অযোগ্য এবং বছরের বাকি সময়েও বসবা꧒সের অযোগ্য। তাহলে কি এখানে দেশের রাজধানী থাকা উচিত।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে শহরে বাতাসের গুণগত মনের সূচক ছিল♑ ৫০০ একিউআই। টানা ৭ দিন ধরে 𓆏ধোঁয়াশার ঘন স্তরে ঢেকে রয়েছে রাজধানী। সোমবার ৪৯৪, রবিবার ৪৪১ এবং শনিবার ৪১৭ একিউআই।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ীꦚ, দিল্লির আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, বাওয়ানা, জাহাঙ্গীরপুরি, মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম এবং আরও বেশ কয়েকটি জায়গার বায়ুর গুণমান সূচক মঙ্গলবার সকাল ৫ টায় ৫০০ স্পর্শ করেছিল।
ইতোমধ্যেই দিল্লি সরকার দূষণ পরিস্থিতিকে চিকিৎসা জরুরি বলে উল্লেখ করেছে। জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনুরোধ করেছে। দিল্লি-এনসিআরের স্কুল এবং কলেজগুলি ইতিমধ্যেই দূষণের কারণে অনলাইন ক🤪্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে।