একেবারে চরম বিপর্যস্ত অবস্থা সিকিমে। ফুঁসছে তিস্তা। উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস। সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন বিপর𒅌্যয়ের মধ্যে। একাধিক সেনা জওয়ানের খোঁজ মিলছে না।
এদিকে তিস্তায় জল বৃদ্ধি মানে ত🌄ার প্রভাব পড়তে পারে জলপাইগুডꦑ়ি, কালিম্পং, দার্জিলিংয়ে। গজলডোবা বুধবার সকালেও জলের স্রোত ছিল ভয়াবহ। তবে সন্ধ্যায় জল কিছুটা কমে। তবে স্থানীয়দের দাবি, তিস্তার এমন ভয়াল রূপ এর আগে তারা বিশেষ দেখেননি। এদিকে সেই গজলডোবাতে অন্তত তিনটি মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় এদিন।
কোথা থেকে এই দেহগুলি ভেসে এসেছিল তা বুঝতে পারছেন না স্থানীয়রাও। এই দেহের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই দেহের মধ্যে এক মহিলার দেহ রয়েছে বলেও খবর। সেই দেহের একাংশ কাটা রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। মনে করা হচ্ছে, প্রচন্ড স্রোতে কোথাও ধাক্কা লেগে দ🌊েহের একাংশ কেটে গিয়েছে।
তবে প্রচন্ড জলে স্রোতে প্রথম দিকে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছিল। পরে ধীরে ধীরে দেহগুলি🅺 তোলা হয়। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব মিলিয়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
সব থেকে বিধ্বস্ত অবস্থা উত্তর সিকিমে। তিস্তা নদী সংলগ্ন সিকিমের একাধিক জনপদের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। বাড়ির গৃহস্থালী সামগ্রী ভাসছে তিস্তার জলে। মূলত জলের স্রোতে ভেসে আসছে একের পর এক সামগ্রী। সিন্দুক, গ্যাস সিলিন্ডার, গাড়ির অংশ সব ভাসছে তিস্তার ঘূর্ণি স্রোতে। ক্রমেই ফনা তুলছে তিস্তা। এমনি সময় যে তিস্তা একেবারেই শা𝓀ন্ত থাকে, সেই তিস্তাই একেবারে দুকূল ভাসিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে গভীর রাতে সিকিম সরকারের তরফে বাংলার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছি। দ্রুত সাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মূলত মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের পরিস্থিতি এতটౠা বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
এদিকে সিকিমে প্রচুর পর্যটক এই সময় বেড়াতে যান। সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন তাঁরাও। রায়গঞ্জের দুই যুবক সিকিমে গিয়েছেন বাইক নিয়ে। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ তাদের সঙ্গে বাড়ির যোগাযোগ হয়েছিল। কিন্ত সকাল থেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই। এনিয়ে আর কোনও যোগায♋োগ করতে পারছেন না তাঁদের পরিবারের লোকজনও।