জয়দীপ ঠাকুর
আমার বাবাকে কেউ দেখে𒅌ছ? সেই বুধবারের রাত থেকে এই প্রশ্নটাই করে চলে🏅ছেন ২২ বছর বয়সি জোসনা খান। বুধবার ভোরে তিস্তার প্রবল স্রোত টেনে নিয়ে গিয়েছে তার বাবাকে। তারপর থেকে বাবার খোঁজ চালাচ্ছেন ওই তরুণী।
চোখ ছলছল করছে তার। তিনি জানিয়েছেন, রাত ২টো নাগাদ বান আসল আচমক♊াই। আমরা সব বাইরে বেরিয়ে আসি। আর তার মধ্য়েই বাবাকে হারিয়ে ফেললাম। এক বছর আগে মাকেও হারিয়েছি। বাবাও চলে গেল কীভাবে থাকব আমি। বড্ড একলা হয়ে গেলাম।
সিংতামের একটি ꦉঅডিটোরিয়ামে রাত কাটাচ্ছে ওই তরুণী। অনেকেই আশ্রয় নিয়ে🗹ছেন সেখানে। কিন্তু তাঁর যে আর কেউ নেই।
সেই বুধবার থেকে একই সালোয়ার কামিজে দিন কাটছে তাদের। তিনি বলেন, আমি নথিপত্র, টাকাপয়সা 🔯কিছু আনতে পারিনি। আমার বাড়িটাও চলে গিয়েছে। আমি জানি না এবার কী করব! এরপর কোথায় যাব!
তিনতলা স্কুল বিল্ডিংই এখন ফ্লাড সেল্টার। প্রতিদিন এখানে দুর্গতদের সংখ্য়া বাড়ছে। স্মৃতি প্রধান নামে এক বাসিন্দা বলেন, বান আসার পরে স্বামী, দুই মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাই। পরে সিদ্ধান্ত নিই ফ্লাড সেল্টারে চলে যাব। আমাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। রোজ স্বামী গিয়ে দেখে আসছে বাড়ꦬিটা আবার তৈরি করা যায় কি না।
গোটা স্কুল বাড়ি এখন ফ্লাড সেল্টার। সকালে চা বিস্কুট। আর দিনে দুবার খাবার পাচ্ছেন দুর্গতরা। স্কু♎লে প্রধান এসকে প্রধান জানিয়েছেন, কিছু জন প্লাস্টিকে করে জামাকাপড় এনেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই তাদের বাড়িতে রয়েছে।
এখন স্কুলের শিক্ষকরা ও পড়ুয়ারা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা কাজ করছেন। এক ছাত্র রাঞ্চো গুরুং জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ। তবে রোজ স্কুল যাচ্ছি। ওরা খুব কষ্টে আছেন। আমি তাদের সেবা করতে পেরে খুব খ🧔ুশি।
তবে কেউ যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেটা দেখা হচ্ছꦓে। 🌠;