সন্দেহ শুরু হয় ঘটনার সময়ক্ষণ নিয়ে। ইরানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ১২০০ পড়ুয়া হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ঠিক নামার আগেই তাঁদের বিষক্রিয়ার ঘটনা থেকে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, ইরানে হিজাব বিরোধী প্রতিবাদে মাহাসা আমিনির মৃত𒁏্যু ঘিরে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। কড়া হাতে সেই বিদ্রোহ দমন করতে যায় প্রশাসন। আন্দোলনের রেশ 🐲আরও তুঙ্গে ওঠে। এরই মাঝে ইরানের ১২০০ পড়ুয়ার খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, ইরানে যে সমস্ত পড়ুয়ারা খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছেন, তাঁরা পেটে ব্যথা, বমিভাব, মাথার যন্ত্রণার কথা বলছেন। আচমকা এই প্রতিবাদীদের অসুস্থতা ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে ইরান জুড়ে। ইরানের খারাজমি, আর্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াকা সমবেতভাবে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিতে যাচ্ছি✃লেন। যে সমস্ত পড়ুয়ারা এই বিষক্রিয়ার শিকার হননি, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা কোনও ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার খেতে যাবেন না। অসুস্থতার উপসর্গ দেখে মনে করা হচ্ছে, জলজাত কোনও ব্যাকটেরিয়া এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে। অন্যদিকে ছাত্র সংগঠনের দাবি, ইচ্ছে করে জেনে শুনে ওই প্রতিবাদরত পড়ুয়াদে൩র খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা সরব প্রতিবাদে অংশ নিতে না পারেন।
পড়ুয়াদের সংগঠন বলছে, ‘এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা আমাদের আগেও হয়েছে। ইসফাহান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে।’ টেলিগ্রামে একটি সংগঠন এমনই দাবি করেছে। এদিকে, পড়ুয়াদের অসুস্থতায় চিকিৎসা করার জন্য প্রয়োজন ওষুধের অভাব হচ্ছে কারণ স্থানীয় বহু ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। অনেকেই বলছে, তাদের কাছে মজুত ওষুধের পরিমাণ শেষ হয়েছে। কোথাও আবার ওষুধের দোকান বন্ধ। প্র🧜সঙ্গত, ইরানে ৩ দিনের ধর্মঘট করার কথা ছিল ছাত্র সংগঠনের। আর তা রুখতেই এমন বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জল্পনা।