শেষমেষ যাবতীয় রাজনৈতিক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির জেপি নাড্ডার ‘হাতে’ হাত মেলালেন কংগ্রেস পরিত্যাগী পঞ্জাবের হেভিওয়েট সুনীল জাখার। উল্লেখ্য, পঞ্জ🐠াবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে কোন্দল দেখা দেয়। তার অন্যতম মুখ জাখারও ছিলেন। যদিও কোন্দলের মূল দুই প্রান্তে ছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু ও অমরিন্দর সিং। এরপর বহু জল গড়ানোর পরে শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দিলেন এই দাপুটে পঞ্জাবী নেতা।
লক্ষ্মীবার বৃহস্পতিবারে দিল্লির বিজেপি হেডকোয়াটার্সে জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করলেন সুনীল জাখার। বিজেপিতে যোগ দিয়ে জাখারা জানান, ৫০ বছর তাঁর পরিবার যে পার্টির সঙ্গে ছিল তা ছেড়ে বেরিয়ে আসা সহজ হয়নি। তাঁর পরিবারের তিন প্রজন্ম এই পার্টির সঙ্গে যুক্ত। সেখান থেকে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত সেভাবে সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। একধাপ এগিয়ে সুনীল জাখার বলেন, কোনও ব্যক্তিগত কারণে তিনি পার্টি ছাড়েননি, তিনি 'জাতীয়তাবোধ'-এর প্রশ্নে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে পঞ্জাবের ‘ভ্রাতৃত্ব ’ ও ‘ঐক্য’। সেই মর্মে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মাল𒈔িক
উল্লেখ্য, পঞ্জাবের ভোটের আগে যখন মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে আলোচনা চলেছে তখন তৎকালীন পঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান সুনীল জাখারের নাম উঠে আসে। তিনি নিজেও এই বিষয়ে মিডিয়ায় মুখ খুলে একবার বিতর্কে পড়ে যান। তারপরই তাঁর বিজেপিতে এই গ্র্যান্ড যোগদান। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের নিরিখে পঞ্জাবে পিচ তৈরি করছে বিজেপি। কৃষক আন্দোলনের জেরে তারা সেখানে যে জমি হারিয়েছে, তা ফিরে পেতে মরিয়া। আর সেই কারণেই সুনীল জাখারের মতো নেতার বিজেপিতে যোগদান হ꧟য়েছে। এদিকে গুজরাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানের কংগ্রেসের তরুণ তুর্কী হার্জিক প্যাটেলের কংগ্রেস ছাড়া নিয়েও জল্পনা রয়েছে তুঙ্গে।