কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। যারা গ্রেফতারির হাত থেকে ♉বাঁচতে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিজয় মাল্য, নীরব মোদী প্রমুখ। ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের পরামর্শ, 'তাঁরা যদি টাকা ফিরিয়ে দিতে রাজি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি কার্যক্রম বন্ধ করে ভারতে আসার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।'
মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং এমএম সুন্দরেশের একটি বেঞ্চ কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে, 'বহু বছর ধরে আ🌄ইনি প্রক্রিয়া চললে তাতে অনেক অর্থ এবং সময় ব্যয় হয়ে যাবে। তারপরেও পলাতক ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে আনতে হয়তো সিবিআই বা ইডি সফল হতেও পারে আবার নাও পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে সরকার তাদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে। যদি তারা টাকা ফেরত দিতে রাজি হয় তাহলে দেশে ফেরার সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে না এটা নিশ্চিত করা যেতে পারে।'
এদিন স্টার্লিং গ্রুপের কর্তা হেমন্ত এস হাতির আবেদনের শুনানিতে এই পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, স্টার্লিং গ্রুপের কর্তার বিরুদ্ধে সাড়ে ১৪ হাজার🌼 কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত প্রতারণার অভিযোগে বহু বড় বড় ব্যবসায়ী ভারত থেকে পালিয়ে বিদেশে রয়েছেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও পর্যন্ত তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সফল হয়নি। স্টার্লিং গ্রুপের এই মামলায় হেমন্ত এস হাতি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপরেই কেন্দ্রকে এই পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত মনে করছে এর ফলে পলাতক ব্যবসায়ীরা যেমন দেশে ফিরে আসবেন, 🦂তেমনি হয়তো টাকাও ফিরে পেতে পারে ব্যাঙ্কগুলি।