নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, বেনামি নির্বাচনী বন্ডের ফলে সংবিধানে প্রদত্ত বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই মোদী সরকারের জারি করা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প অসাংবিধানিক। আর সেই যুক্তিতেই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, কে বা কারা আর্থিক অনুদান প্র♉দান করেছে, সেই তথ্য হাতে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। অর্থাৎ কারা কত টাকা দিয়েছেন, সেটা এবার প্রকাশিত হতে চলেছে।
নির্বাচনী বন্ড মামলার সুপ্রিম কোর্টের রায়দান
— নির্বাচ🐽নী বন্ড মামলায় সর্বসম্মতিক্রমে রায়দান করল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। যে বেঞ্চে আছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়া🅺ই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপত মনোজ মিশ্র। গত বছরের ২ নভেম্বর সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।
— সুপ্রিম কোর্ট: বেনামি নির্বাচনী বন্ড প্রদান করা হলে সেটা তথ্য জানার অধিকার আইন এবং সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারাকে ভঙ্গ করবে। উল্লেখ্য, সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার আওতায় সব নাগরিকদের বাকস্বাধীনত♕া প্রদান করা হয়েছে।
— সুপ্রিম ক🎶োর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার বিরোধী। তাই যে ব্যাাঙ্কগুলি নির্বাচনী বন্ড জারি করে থাকে, সেগুলিকে অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড জারি করা বন্ধ করতে হবে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্য়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশনকে সেই তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
নির্বাচনী বন্ডের ইতিবৃত্ত
২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি সেই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকার। কেন্দ্রের তরফে যুক্🔯তি দর্শানো হয়েছিল যে রাজনৈতিক দলগুলির আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রে স্ꦿবচ্ছতা আনতে নগদ টাকার পরিবর্ত হিসেবে নির্বাচনী বন্ড চালু করা হচ্ছে। ওই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আওতায় যে কোনও ভারতীয় নাগরিক নির্বাচনী বন্ড কিনতে পারেন। একাও বন্ড কেনার নিয়ম রাখা হয়। যৌথভাবে বন্ড কেনার নিয়মও আছে ওই প্রকল্পে। দেশের বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারে।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৯এ ধারায় নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল এবং শেষ লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে যত ভোট পড়েছে, তার এক শতাংশের কম ভোট পায়নি, সেই দলগুলিকেই শুধুমাত্র নির্বাচনী বন্ড কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যোগ্য রাজনৈতিক দলগুলি শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেℱর মাধ্যমে সেই টাকা ভাঙিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন দলকে কে বা কারা কত টাকা দিচ্ছেন, সেটা পুরোটাই অন্তরালে থাকবে।
আরও পড়ুন: Income of BJP: কংগ্রেসের থেকে ৭ গুণ আয় বেড়েছে বিজেপির, হেলিকপ্টার ভাড়♈ায় খরচ কিন্তু কমেছে