হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে। এর ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করল সুপ্🌺রিম কোর্ট। বাংলায় হাতি তাড়ানোর জন্য কেন বর্ষা এবং মশাল ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানার জন্য রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপালের কাছে বক্তব্য চেয়ে পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে পা রাখতেই মুখোমুখি গজরাজের🅺 দল, জলপাইগুড়িতে আলোড়ন
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীর আইনজীবী রশ্মি নন্দকুমারের যুক্তি শোনার পরে এ🐻ই আদেশ দেয়। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানব-হাতি সংঘর্ষের কার্যকরী সমাধান খুঁজতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই রাজ্য সরকার আদালত অবমাননা করেছে। আইনজীবী রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাংলায় হাতি হত্যার বিষয়টিও তুলে ধরেন।তিনি বলেন, গত ১৫ অগস্ট একদল হাতি পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ কলোনিতে প্রবেশ করেছিল। সেই সময় জ্বলন্ত বর্ষার আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল একটি গর্ভবতী হাতির। বাংলায় হাতি তাড়ানোর জন্য বর্ষা এবং জ্বলন্ত মশালের ব্যবহার অব্যাহত থাকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
নন্দকুমার জানান, হাতি তাড়ানোর জন্য এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না আদালতের সেই নির্দেশ সত্ত্বেও তা অব্যাহত রয়েছে বাংলায়। নন্দকুমার আরও জানান, বাℱংলায় হাতি তাড়ানোর জন্য বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এমনকী কর্ণাটকেও তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। মꦰামলাকারী বলেন, বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই হাতি তাড়ানোর জন্য বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
এই যুক্তি শোনার পর আদালত নোটিশ জারি করে বাংলার প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে প্রেরণা সিং বিন্দ্রা নামে একজন মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় ২০১৮ সালে কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা এই ৪টি রাজ্যে হাতি তাড়ানোর জন্য নিষ্ঠুর ও নির্যাতনমূলক পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপরে আদালত বলেছিল হাতি তাড়ানোর জন্য জলন্ত মশাল বা বর্ষার ব্যবহার করা যাবে না। তবে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গে জ্বলন্ত মশাল ও বর্ষার ব্যবহার করে হাতিদের ♊ভয় দেখানোর প্রথা অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ। আবেদনকারীর মতে, হাতি তাড়াতে বিকল্প পদ্ধতির অবলম্বন করেনি রাজ্য। সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ তারা মেনে চলেনি৷