গত ২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটা নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নির্দেশ দিল তারা যাতে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য কমিশনের কাছে জমা দেয়। ডবল করে সিল করা খামে এই নথি জমা দিতে হবে। ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত তারা কার কাছ থেকে কী পেয়েছে সবটা জানাতে হবে কমিশনকে। তার মধ্যে একেবারে সবটা জানাতে হবে। মানে কারা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে দান করেছে, তার নাম কী, কত টাকা দান করা হয়েছে, ব্যাঙ্কে কত টাকা গিয়েছে সবটা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে এটাই সুপ্রিম নির্দেশ। ১৫ নভেম্বরের মধ্য়ে এই পূর্ণাঙ্গ তালিকা মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে। গত ৩ নভেম্বর এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই খামের উপরে ইলেকটোরাল বন্ড শব্দটি লিখে রাখতে হবে। প্রথমে একটা খামের ভেতর যাবতীয় নথি রেখে সেটা আবার অন্য় একটি খামে ভরতে হবে। এদিকে এই ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত তথ্য় জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সময় টালবাহানা করে রাজনৈতিকদলগুলি। কার কাছ থেকে তারা কত টাকা পাচ্ছে সেটা তারা জানাতে চায় না। তবে এনিয়ে স্বচ্ছতা থাকা দরকার বলে বার বারই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। এদিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বনাম ভারত সরকারের একটি মামলায় এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ রায় দেয়। সেখানেই বলা হয়, মুখবন্ধ খামে কমিশনকে সবটা জানাতে হবে। কোন দল কাদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য় জানাতে হবে কমিশনকে। এটার জন্য় সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।এদিকে এর আগে কেবলমাত্র কত টাকা পেয়েছে তার একটা বিবরণ বার্ষিক অডিটের সময় পেশ করত রাজনৈতিকগুলি। এবার অর্ধেক দিলে হবে না বিস্তারিত বিবরণ জানাতে হবে। কার কাছ থেকে কত টাকা মিলেছে সবটা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।