পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সরাতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আ🍸দালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতജালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানির সময় এক আইনজীবী আর্জি জানান যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি স্পষ্টভাষায় বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা মণিপুরের মতো ঘটনায় এরকম করেছি। কিন্তু এই মামলায় আমরা এরকম কিছু করব না। মামলার কোনও স্থানান্তর হবে না।’
তারইমধ্য🎃ে এক আইনজীবী আবার দাবি করেন যে পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থার উপর থেকে সাধারণ মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন। তাতে দৃশ্যতই বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, 'আপনি কার হয়ে মামলা লড়ছেন? কোর্টে স্রেফ ক্যান্টিনের গসিপ হচ্ছে।'
সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা সিবিআইয়ের
তারইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখার পরে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির (বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়꧃ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আর তাতে সিবিআই জানিয়েছে যে গত ৪ নভেম্বর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকꦫের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা হবে। সেই পরিস্থিতিতে চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে পরবর্তী স্ট্যাট🌳াস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রিপোর্ট পেশ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ)। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, দুটি ক্যাটেগরিতে সুপারিশ জমা পড়েছে। প্রথমত, যৌন হিংসা রোখা। দ্বিতীয়ত, শারীরিক হিংসা রোখা। টাস্ক ফোর্স সুপার🅺িশ করেছে যে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সেই বিষয়টি করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে সবপক্ষকে টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট পাঠাতে হবে। প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে পাঠাতে হবে সেই রিপোর্ট। যদি কোনও পরামর্শ থাকে, তাহলে সেটা দিতে পারবেন মুখ্যসচিবরা। এই প্রক্রিয়াটা তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তারইমধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা আর্জি জানান যে টাস্ক ফোর্সে মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের রাখা হোক। সেই ☂প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানান যে সুপারিশ জমা দেওয়া হোক।