মহারাষ্ট্রে এনসিপি ক্যাম্রে ভাঙন ধরিয়ে এনডিএর জোটে হাত মিলিয়েছেন সদ্য অজিত পাওয়ার। এরপরই মারাঠা রাজনীতি নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল। মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারের পার্টিতে এই ভাঙনের জেরে বড়সড় ধাক্কা লাগে। এদিকে, মারাঠাভূমে পোক্ত হয়েছে বিজেপি জোট। এরপরই সদ্য বিহারের বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী দাবি করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউতেও এমন ভাঙন হত⭕ে চলেছে।
এক বিস্ফোরক দাবিতে সুশীল মোদী বলছেন, মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে হতে চলেছে। সুশীল মোদীর দাবি, জেডিইউয়ের বহু সাংসদ ও বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে কথা বলছেন। ফলে নীতীশের পার্টিও ভাঙনের মুখে বলে দাবি সুশীলের। সুশীল মোদী বলেন, ‘জেডিইউতে ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক কিছুই ঘটতে পারে আসন্ন সময়ে।’ তবে বিজেপি আপাতত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে তারা জেডিইউয়ের বিদ্রোহীদের দলে জায়গা দেবে কি না। তবে কী মর্মে এই নেতাদের দলে নেওয়া হবে, তা বেশ কিছু ফ্যাক্টরে নির্ভর করবে। সুশীল মোদী সাফ জানালেন যে নীতীশ কুমারের জন্য দরজা বন্ধ রয়েছে বিজেপির। উল্লেখ্য, বিহারে জেডিইউয়ের নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট গড়েঠিল বিজেপি। তবে পরে সেই হাত ছেড়ে লালু আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েন নীতীশ। ততক্ষমে সরকার থেকে বেরিয়ে যায় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বি🐓হার বিজেপি ক্ষুব্ধ রয়েছে নীতীশের পদক্ষেপ ঘিরে। সুশীল মোদী বলছেন, যে নেতারা জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছিলেন, ‘তাঁরা দেখেছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ আর পার্টিকে অন্ধকারে রেখে কীভাবে নীতীশ তেজস্বীকে তাঁর উত্তরসূরি ঘোষণা করেছেন। তাঁরা জানেন, যে তারা আগামীতে দলের টিকিট পাবেন না।’
দাবিতে সরব থেকে সুশীল মোদী বলছেন, ‘গত বছর জেডিইউ পেয়েছিল ১৭টি আসন। আজকের পরিস্থিতিতে জেডিইউয়ের ৮ থেকে ১০-এর বেশি আসন পাওয়ার সুযোগ নেই।’ তিনি একধাপ এগিয়ে জেডিইউয়ের নেতাদের প্রসঙ্গ 🤪তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন,' সবাই তাঁদের ভবিষ্🐼যৎ অন্ধকারে দেখছে। তাই আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাংসদ ও বিধায়করা অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সেখানে পদদলিত হওয়ার মতো অবস্থা।' এতটাই ভিড় অন্যদলের দিকে বাড়ছে জেডিইউর নেতাদের, বলে দাবি সুশীল মোদীর। এদিকে, জেডিইউয়ের তরফে এমন বার্তাকে সরাসরি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সুশীল মোদীর বক্তব্যের আগে লালু প্রসাদও জানিয়েছেন যে, বিহারে মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে না।