আমেদাবাদে মিষ্টি আর নিমকির দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। দশেরার পরে গুজরাটি মিষ্টি ও স্ন্যাক্স কেনার জন্য় কার্যত ভোর থেকে লাইন। মূলত ফাফদা আর জিলিপি কেনার জন্য় একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। কার্যত বাংলার যেকোন মিষ্টির দোকানকেও হারিয়ে দেবে এই ছবি।পরিসংখ্য়ান বলছে আমেদাবাদে প্রায় ১৭৫ কোটির ফাফদা ও জিলিপি বেচাকেনা হয়েছে। দুটি খাবারই প্রায় ৮.৪ লাখ কেজি করে বিক্রি হয়েছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে।একাধিক সংবাদ মাধ্য়মে সেই মিষ্টি কেনার লাইনের ছবি সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মিষ্টি কেনার জন্য একেবারে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন আম আদমি। এক বাক্স মিষ্টি কেনার জন্য অন্তত ঘণ্টা দুয়েকের অপেক্ষা। এমনকী অনেকে আবার টোকেন নিয়ে বাড়ি চলে যান। এরপর ঘণ্টা তিনেক পরে আবার মিষ্টি কিনতে এসেছেন। তখনও দেখা যায় তার পালা আসেনি।এদিকে সেই সকাল ৬টা থেকে বহু দোকানের সামনে লাইন পড়ে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। তারপরে তিনি এক বাক্স মিষ্টি পান। এদিকে এবার জিলিপি ও ফাফদার দাম কিছুটা বেড়েছে। মূলত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জেরে মিষ্টির দাম বেড়েছে। কিন্তু তাতে অবশ্য় আমজনতা একটুও দমেননি।এবার বেসন ও তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। সেকারণে ফাফদার দামও বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতবার দাম ছিল ৭২০ টাকা প্রতি কেজি। এবার হয়েছে ৭৫০ থেকে ১৩০০ টাকা প্রতি কেজি। জিলিপি গতবার ছিল ৯০০ টাকা প্রতি কেজি। এবার সেই জিলিপির দাম ১০০০ টাকা প্রতি কেজি।এদিকে ক্রেতাদের অনেকে আবার এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে যান। অনেকে আবার অনলাইনে মিষ্টির অর্ডার করেন। মূলত যাতে দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়াতে হয় সেকারণেই তাঁরা অনলাইনে মিষ্টির অর্ডার করেন।এদিকে বাঙালীদের হুজুগে বলে ঠেস দেন অনেকেই। তবে এবার দেখা গেল গুজরাটেও এই হুজুগ কম কিছু নেই। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কিনলেন হাজার হাজার মানুষ।