আমেরিকায় বেআইনিভাবে কমপক্ষে ২২ জন মার্কিন কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ🍸 উড়িয়ে দিল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস)। ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দাবি, টিসিএসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ত🅰োলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিকর। ওই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। বরাবরই আমেরিকায় সব কর্মীদের সমান সুযোগ প্রদান করে থাকে টিসিএস। কোনও কর্মচারীর সঙ্গে কোনওরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় না। টিসিএসের এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সর্বোচ্চ পর্যায়ের ন্যায়পরায়ণের নীতি এবং মূল্যবোধ মেনেই কাজ করে থাকে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস।'
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে টিসিএসের বিরুদ্ধে?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিসিএসের বিরুদ্ধে স্বল্পদিনের নোটিশে ছাঁটাই করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন একদল মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁরা দাবি করেছেন যে বর্ণ এবং বয়সের ভিত্তিতে তাঁদের ছাঁটাই করে দিয়ে কম টাকায় এইচ১-বি ভিসাধারী ভ𒀰ারতীয়দের চাকরি দিয়েছে টিসিএস। যে কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের কাছে এমবিএ (মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) বা অন্যান্য আরও উচ্চমানের ডিগ্রি আছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২২ জন মার্কিন কর্মী 'ইক্যুয়েল এমপ্লয়মেন্ট অপোরচুনিটি কমিশন🎉'-এ (কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার রক্ষাকারী কমিশন) নালিশ ঠুকেছেন। যে কমিশন আমেরিকার বিভিন্ন আইন কার্যকরের দায়িত্বে আছে, যাতে বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়স, শারীরিক সক্ষমতা বা অন্য কোনও কারণে কোনও চাকরিপ্রার্থী বা কর্মচারীকে বৈষম্যের শিকার না হতে হয়। নিয়ম লঙ্ঘন করে পদক্ষেপ করে থাকে ওই কমিশন।
ওই মার্কিন কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন যে বয়স এবং বর্ণের কারণেই তাঁদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এইচ১-বি ভিসাধারী ভারতীয় কর্মচারীদ𝕴ের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই মার্কিন কর্মীরা। যে তালিকায় আছেন এশিয়ান-আমেরিকান, হিসপ্যানিক-আমেরিকানের মতো বর্ণের কর্মীরা আছেন। তাঁদের বয়স ৪০ থেকে ৬০-র মধ্যে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে বসবাস করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় মাঝেমধ্যে অভিযোগ ওঠে যে এইচ১-বি ভিসার সুযোগ নিয়ে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি কম টাকায় কাজ করিয়ে নিচ🥃্ছে। মার্কিন কর্মচারীদের চাকরি না দিয়ে সস্তায় বিদেশিদের কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। ওই মহলের দাবি, আমেরিকায় মার্কিন কর্মচারীদের চাকরি দিলে যে অর্থ খরচ হয়, সেটা এইচ১-বি ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে অনেক কম হয়ে থাকে। সেজন্যই ওই পন্থা অবলম্বন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদ