প্রায় ১৩০০ কোটি বছর আগের আলোর সন্ধান পেল নাসার টেলিস্কোপ। সেই ছবি হোয়াইট হাউজে দাঁড়িয়ে প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্লেখ্য, প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে ‘বিগ ব্যাং’ বিস্ফোরণের পরই নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি তৈরি হয়েছিল। সেই আদি নক্ষত্রপুঞ্জের একটি ধরা পড়ে নাসার টেলিস্কোপে। এই ছবি প্রকাশဣ করে জো বাইডেন বলেন, ‘ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের প্রথম চিত্রটি বিজ্😼ঞান ও প্রযুক্তির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপস্থাপন করেছে। জ্যোতির্বিদ্যা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য এটি যুগান্তকারী। এবং আমেরিকা এবং সমস্ত মানবতার জন্য এটি ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত। ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরোনো... মহাবিশ্বের ইতিহাসে প্রাচীনতম নথিভুক্ত আলো - আমাকে আবার বলতে দিন - ১৩ বিলিয়ন বছর আগের এই আলো। এটা বোঝা কঠিন।’
আমাদের গ্যালাক্সিতে আছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি তারা। আমাদের মিল্কি ওয়ের সবচেয়ে কাছের ছায়াপথটি হল অ্যান্ড্রোমিডা। তাতে রয়েছে দেড় লক্ষ কোটি তারা। তবে নাসার টেলিস্কোপে ধরা পড়া ১৩০০ বছর পুরোনো এই গ্যালাক্সি আরও বড় বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশা, এই নয়া তথ্যের সাহায্যে শীঘ্রই বিশ্বের জন্ম রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব ♛হবে। এই আবহে বাইডেনের হাতে প্রকাশিত এই ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ছবিটি সꦡাড়া ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানী মহলে।
নাসার নয়া জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি আগের হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দে🌌শে রওনা দেয়। পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এইꦕ টেলিস্কোপটি। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দু'টি, ব্রহ্মাণ্ডে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলির ছবি তোলা এবং দূর-দূরান্তের গ্রহগুলি প্রাণধারণের উপযোগী কিনা, তা খতিয়ে দেখা।