লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশে। সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে নির্বাচনী বন্ড ফিরিয়ে আনা হবে। সপ্তাহখানেক আগেই এই কেলেঙ্কারিতে আদালতের নজরদারিতে তদন্তের🅷 জন্য সিট গঠনের আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ঠিক পরেই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেন্দ্রের কোনও আইন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নি♏র্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হবে না, কারণ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আইন আনার কোনও পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা তা নিয়ে শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তার উত💫্তরে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আইন আনার কোনও পরিকল্পনা নেই। এছাড়াও লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের জন্য কোনও বিকল্প কিছু বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয় আইনমন্ত্রীকে। তার উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের কোনও প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন নয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের জন্য সরকারের কোনও প্রস্তাব বিবেচনাধীন ছিল না।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তখন শীর্ষ আদালত এটিকে অসাংবিধানিক বলে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় বলেছিল, নির্বাচনী বন্ড বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি তথ্যের অধিকারের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। সেই সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে এই বন্ড কেনাব🗹েচা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল।এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাগুলি বা ব্যক্তিরা দাতাদের পরিচয় প্রকাশ না করেই রাজনৈতিক দলগুলিকে তহবিল দিতে পারে। তবে কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রকল্পটিকে 'অসাংবিধানিক' বলে রায় দেয় এবং তা বন💃্ধ করে দেয়।