তামিলনাড়ুর দুটি জেলাত♈ে জাল্লিকাটুতে একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। জাল্লিকাট্টু নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তার মধ্য়েই এবার ওই ষাঁড়ের দৌড় দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তার মধ্য়ে ১৩ বছর বয়সি এক বালকও রয়েছে।
এই ঘটনায় শতাধিকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। শিবগঙ্গা এলাকায় সিরাভায়াল এলাকায় ওই জাল্লিকাট্টুর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় অনেক♕েই খেলা দেখছিলেন। আচমকাই ষাঁড়ের দড়ি ছিঁড়ে যায়। এরপর সেটি দর্শকদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এর জেরে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা।
একেবারে ষাঁড়ের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন কয়েকজন🎀। মারাত্মক আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্য়ে। আসলে জাল্লিকাট্টু তামিলনাড়ুর অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এই খেলাতে চারপাশ🤡ে দর্শকরা থাকে। আর তার মধ্য়েই ছুটতে থাকে ষাড়। তার পেছনে উৎসাহী লোকজনও ছুটতে থাকে।
এদিকে সেই সময়ই আচমকা কোনওভাবে ষাঁড়টি ছুটে এসে দর্শকদের মধ্য়ে ঢুকে পড়ে। তাতেই প্রাণ হারিয়েছে তিনজন।🐟
এদিকে প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা হল জাল্লিকাট্টু। এই খেলায় মত্ত ষাঁড়ের কেবল সিং ধরেই তাকে বশে আনার নিয়ম রয়েছে। আর ষাঁড়ের সিংটি চেপে ধরতে গেলেই আসে বিপদের নানন আশঙ্কা। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এই খেলা। পশুপ্রাণীপ্রেমীরা বহু সময়ই এই খেলার বিরুদ্ধে সরব হয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, পরবর্তী ক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের এই জনপ🌃্রিয় খেলার জনপ্রিয়তার এক চুলও ভাঁটা পড়েনি। উল্লেখ্য, পোঙ্গলের মধ্যে ৪ দিনের উৎসবের একদিন ‘মুট্টু পোঙ্গল’ উৎসবে এই জাল্লিকাট্টু আয়োজিত হয়।
গত বছর জানুয়ারি মাসেও একের পর এক ঘটনা হয়। একটি ষাঁড় তেড়ে এসে শিং দিয়ে এক কিশোরের পেটে আঘাত করেছিল। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই বালকের পরিবারে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। এদিনের ঘটনার ফলে এবারের জাল্লিকাট্টু উৎসবে𒐪 মৃতের সংখ্যা বের হল চারজন।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পোঙ্গল ফসল কাটার সময় জাল্লিকাট্টু খেলা হয়। এভাবেই গবাদি পশুর পুজো করা হয়। যদিও জাল্লিকাট্টু একটি বিপজ্জনক খেলা। এই খেলায় একটি ষাঁড়কে ভিড়ের মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়। জাল্লিকাট্টꦆু খেলায় খেলোয়াড়দের মুক্ত ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। জাল্লিকাট্টু ইরু, থা🦩ঝুভুথাল এবং মানাকুভিরাত্তু নামেও পরিচিত। এই খেলার বিজয়ীদেরকে সাইকেল, বাইক, জামাকাপড়, গয়না এবং টাকা দেওয়া হয়।