শুক্রবার ভোর পাঁচটায় একসঙ্গ𒁃ে ফাঁসিতে ঝুলতে চলেছে নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিত চার আসামি। ফাঁসির সমস্ত রকম প্রস্তু🔯তি সম্পূর্ণ হয়েছে তিহাড় জেলে।
জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিন নম্বর জেলের 🐻অন্য সেলে থাকা কয়েদিদের অন্যত্র সরিয়য়ে ফেলা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বেশ কিছ🦹ু পরে ওই জেলের অন্য কয়েদিদের সেল থেকে বেরোতে দেওয়া হবে।
ফাঁসির আগে তিন নম্বর জেলে নিজেদের সেলে স্নান করানো হবে চার দণ্ডিতকে। শুক্রবার ভোররাতে ফাঁসির আগে তিন নম্বর জেলে পৌঁছে যাবেন জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, জেলের চিকিৎসক, ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং অঞ্চলের এসডিএম। এসডিএ𒆙ম-এর ইশারা পেলে চার দণ্ডিতকে ফাঁসি দেবেন পবন জল্লাদ।
গত বুধবার চার দণ্ডিতের ডামি ব্যবহার করে ফাঁসির মহড়া সম্পূর্ণ করেছেন পবন জল্লাদ। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হয় জেলের ডিজি, চিকিৎসক ও অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। মহড়ার সময় কয়েদিদের সেল থেকে তাদের ডামি বয়ে নিয়ে ফাঁসিমঞ্চে পৌঁছন পবন জল্লাদ। গোটা পথ পেরোতে কত সময় লাগল,🎉 তা নোট করে𒆙 রাখেন জেল আধিকারিকরা। এরপর চারটি ডামির মাথায় মুখঢাকা কালো আবরণ পরিয়ে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে, পায়ে বালির বস্তা বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পাটাতন সরে গিয়ে ডামিগুলি নিমেষে নীচের ফাঁসি প্রকোষ্ঠে পড়ে গিয়ে ঝুলতে থাকে।
আদালতের রায়ে একসঙ্গে ফাঁসি কার্যকর হবে নির্ভয়াকাণ্ডে দণ্ডিত ৪ আসামির। এই জন্য তিহাড়ের ফাঁস🗹িমঞ্চে বিশেষ হাতলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাদা রুমাল নেড়ে এসডিএম ইশারা করলেই হাতল ট𓆉েনে ফাঁসি দেবেন পবন জল্লাদ।
ফাঁস🍒িতে ঝোলানোর পরে টানা আধঘণ্টা দড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে চার আসামি। এ দিন ডামি ব্যবহার করে তার মহড়া দেওয়া হয়। আধঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে জেল হাসপাতালের শীর্ষ আধিকারিকের নির্দেশে দেহগুলি ফাঁসম𒈔ুক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য জেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। গোটা প্রক্রিয়াই এ দিনের মহড়ায় সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফাঁসির🌳 আদেশ কার্যকর হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছে চার আসামি। জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, খাবার পরিবেশন করা হলেও তারা খেতে বিশেষ আগ্রহী হয়নি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত তারা ঘুমোয়নি বলেও জানা গিয়েছে।
গত কয়েক দিন নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী চার আসামিকে লাল পোশাক দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছিল লাল জামা, লাল গেঞ্জি, লাল ধুতি ও লাল রঙের প্যান্ট। ত🐲াদের মামলার ফাইলও লাল রঙের🔯 রাখা হয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থান বোঝাতেই লাল পোশাক পরানোর রীতি, বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।