ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যের মধ্যে পড়ে ত্রিপুরা। এবার সেখানে ঘাসফুল ফোটাতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের উপর ত্রিপুরার মানুষ বেজায় চটে আছেন। কারণ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেখানে কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের ভাবমূর্তি নিজেই খারাপ করেছেন। এমনকী দলের অন্দরে চোরাস্রোত কাজ করছে। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও দু’বছর বাকি। তার মধ্যেই এখনই কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস🐽। সেখানেও উঠছে স্লোগান, খেলা হবে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়, উন্নয়ন প্রকল্পের জেরেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এখানে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। সঙ্গে আছেন পিকে।
বাংলায় নির্বাচনের প্রভাব উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বাঙালি অধ্যুষিত এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই পড়েছে। ত্রিপুরার বাঙালি সমাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে চাইতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের ফল দেখে তাঁরা আপ্লুত। তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩ আসন জেতার পরই ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টাতে শুরু করেছে। ত্রিপু🐓রা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, গত ৪ মে থেকে ১০ দিনে বিজেপি ছেড়ে দু’হাজার ১২৩ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বহু নেতাও যোগাযোগ রাখছেন।
এই বিষয়ে তৃণমূল ক💝ংগ্রেসের ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি আশীষলাল সিং বলেন, ‘যে সব নেতারা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন, তাঁদের দলে নিতে চাই না। ত্রিপুরার মানুষ বুঝতে পেরেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি ও উন্নয়নের কাণ্ডারি। এমনকী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিশ্রামগঞ্জে রেললাইনের রুট বদলে যেভাবে ১০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ হওয়া থেকে তিনি বাঁচিয়েছিলেন উপজাতিরা তা মনে রেখেছেন। ত্রিপুরায় এখনই নির্বাচন হলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে মোট আসন ৬০টি। গতবা✱রের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৩৭টি আসনে, বামেদের জয় ছিল ১৫টিতে। তবে বিপ্লব দেব সরকারে আসার পর প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিজেপিকে বাংলা থেকে তাড়িয়েছেন, তাতে ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আস্থা🍒 রাখতে চাইছে।
গত বিধানসভার নির্বাচনে মানিক সরকারের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিল বিজেপি। বড় দায়িত্ব নিয়েছꦏিলেন রামমাধব, সুনীল দেওধররা। বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু তাতে সার্বিক মানুষের উপকার হয়নি বলেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফোটাতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হাওয়া বইছে বলে দাবি করলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শিবানী সেনগুপ্তও। তিনি বলেন, ‘এখানকার মহিলারা আমাদের নেত্রীর উন্নয়নের প্রকল্প সম্পর্কে জানেন। তিনি ভীষণ জন♔প্রিয়। আমরা দিদিকে চাইছি, উনি আসুন।’