রীনা সোপামকলকাতাতে তো বহু দিন ধরেই ট্রাম রয়েছে। এখনও কলকাতার রাস্তায় বের হলে ট্রামের দেখা মেলে। তবে জানলে আশ্চর্য হবেন একটা সময় বিহারের পটনাতেও ট্রাম চলত। স্টেট আর্কাইভে সেই সংক্রান্ত নজিরও রয়েছে। ইতিহাস বলছে, বর্তমানে যেখানে পীরবাহোর থানা রয়েছে সেখানেই ছিল ট্রামের টার্মিনাস।মূলত ব্রিটিশ আমলের নানা দিক, নানা নজির তুলে ধরা হয়েছে এই আর্কাইভের মাধ্যমে। ইংরেজ আমলে কীভাবে পটনাকে আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, যান বাহনের পরিস্থিতি উন্নতির চেষ্টা করা হত সেব্যাপারেও উল্লেখ করা হয়েছে সেই আর্কাইভে। ৯ জুন ইন্টারন্যাশানাল আর্কাইভ ডে তে এই ছবিগুলি সামনে আনা হয়েছে। শুরু হয়েছে প্রদর্শনী।নানা পুরানো তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রদর্শনীতে। ইংরেজ আমলে পটনার নিকাশি ব্যবস্থা, সেখানকার লাইব্রেরি, পোলো ক্লাব সহ নানাদিককে তুলে ধরা হয়েছে।১৮৮৬-৮৭ সাল। পটনাতে ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালানোর জন্য একটি যৌথ কোম্পানিও চালু হয়েছিল। অশোক রাজপথে সেই ট্রাম চালানো হত। বাঁকিপুর থেকে পটনা পর্যন্ত এই ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালানো হত। তবে ১৯০৩ সালে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।এদিকে বাংলার সরকারের ১৮৯০ সালের মে মাসের একটি নোটিফিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, পটনা ডিভিশনে ফেরি সার্ভিসও চালু ছিল। পালেজা থেকে দীঘা ও পালেজা থেকে মারুফগঞ্জ পর্যন্ত এই ফেরি সার্ভিস চালু ছিল। বাংলার পুর বিভাগের ১৮৮৯ সালের একটি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে পটনা শহরে সেই সময় একটি সমীক্ষা হয়েছিল। সেই বছরই পটনা শহরে নিকাশি ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।অন্যদিকে অপর একটি প্রাচীন নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ শতকের প্রথম দিকে পাটলিপুত্রতেও খনন কাজ শুরু করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। অন্যদিকে বিহার ও ওড়িশা সরকারের রাজস্ব দফতরের নথিতে ১৯১৪ সালে উল্লেখ করা হয়েছিল পাটলিপুত্রের খননকার্যের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হবে।বিহার স্টেট আর্কাইভসের ডিরেক্টর সুমন কুমার জানিয়েছেন, এই প্রদর্শনীটা অবশ্য়ই ঘুরে যান। পটনাকে আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তুলতে ইংরেজরা কী ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তা এই প্রদর্শনীতে এলে বোঝা যাবে। মুঘল যুগের আজিমাবাদ থেকে পটনার আধুনিক শহর হয়ে ওঠার গোটা জার্নিটা জানা যাবে এই প্রদর্শনী থেকে। এক সপ্তাহের জন্য এই প্রদর্শনী খোলা থাকবে।