শ্রুতি তোমার
আদিবাসীদের ধর্মান্তরকরণ নিয়ে এবার 🔴চূড়ান্ত দড়িটানাটানি শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। বিজেপি নেতা গণেশ রাম ভগৎ ২০০৬ সালে রায়পুরে তৈরি করেছিলেন ট্রাইবাল সুরক্ষা মঞ্চ। দলের আদিবাসী সদস্যরাই ছিলেন এই সংগঠনের মূল ভিত্তি। এবার ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে তুমুল বিরোধিতা শুরু করেছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য সম্পতিয়া উইকির দাবি, পঞ্চায়েত স্তর থেকে পার্লামেন্ট স্তর পর্যন্ত তাঁরা স্বাক্ষর অভিযান করবেন।
এদিকে ট্রাইবাল সুরক্ষা মঞ্চের নেতা রাজকিশোর হাঁসদা জানিয়েছেন, বিনাপয়সা চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য যারা তাদের পরিচিতি ত্যাগ করছে তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।কার্তিক ওঁরাও প্রায় ৫০ বছর আগে এই লড়াই শুরু করেছিলেন। ট্রাইবালদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার জন্য এন🃏িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও তিনি কথা বলেছিলেন। তিনি ২৭০জন এমপির সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে সহায়তꦅা করেননি। এখন আমরা এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ আদিবাসী জনসংখ্যা ক༺্রমশ কমে যাচ্ছে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশে যেভাবে আদিবাসীরা খ𒁃ඣ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করছেন তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আরএসএসও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা আজাদ প্রেম সিং জানিয়েছেন, আদিবাসী সংস্কৃতিকে শেষ করার জন্য বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। আদিবাসীদেﷺর প্রলোভন দেখানোর জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের কাজ আমরা মধ্যপ্রদেশে বরদাস্ত করব না।আমাদের ধর্মান্তকরণে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তারা তাদের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলুক এটা আমরা চাইব না।
এদিকে জয় আদিবাসী যুবꦕ শক্তির নেতা বিক্রম আচালিয়া জানিয়েছেন, বিজেপি আমাদের হিন্দু প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। খ্রীষ্টানরা লোভ দেখাচ্ছে। আমরা বলছি যারা তাদের নিজস্বতা মেনে অন্য ধর্মে না গিয়ে ঐতিহ্য রক্ষা করছেন তাঁদেরই যেন এসটি(ST) মর্যাদা দেওয়া হয়। অন্যদিকে খ্রীষ্টান ডায়োসিসের পিআরও মারিয়া স্টিফেন জানিয়েছেন, ভগবানকে অন্তর থেকে ডাকা মানে ঐতিহ্য ত্যাগ নয়।