সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মানুষদের নতুন বন্ধু বানাতে, মনের মানুষকে খুঁজে পেতে অথবা পরিচিতদের সাথে পুনরায় যোগাযোগ হতে আপনি নিশ্চই দেখেছেন। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া, টিকটকের মাধ্যমে জন্মের ঠিক পরেই মায়ের কাছ থেকে চুরির পর পৃথক পরিবারে বিক্রি করে দেওয়া দুই বোন একে অপরকে খুঁজে পেয়েছে। অ্যামি এবং আনো যমজ বোন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর তাঁরা একে অপরকে খুঁজে পেয়েছেন। এছাড়া খুঁজে পান নিজেদের মাকেও।মিডিয়াতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যামি জানান, যখন তাঁর ১২ বছর বয়স, তিনি জর্জিয়া গট ট্যালেন্ট নামের একটি রিয়েলিটি টিভি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একটি মেয়েকে দেখেন, যে কিনা হুবহু তারই মত দেখতে। এরপর থেকে তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তবে অন্যদিকে আনো জানান, অ্যামি সম্পর্কে জানতে পারি টিকটকে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে। এরপর আনো সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যামিকে খোঁজা শুরু করে এবং অবশেষে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা সাথে যোগাযোগ করেন। অ্যামি মিডিয়াকে আরও বলেন, ‘এটি একটি আয়নায় দেখার মতো ছিল, ঠিক একই মুখ, একই কণ্ঠস্বর। আমি ঠিক তাঁর মত এবং সেও ঠিক আমারই মত।’ তিনি কোনওভাবে জানতেন যে তাঁরা যমজ। আনো এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমি আলিঙ্গন পছন্দ করি না, তবে আমি তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।’তবে দুই যমজ বোনের বিচ্ছেদের পেছনের ঘটনা খুবই বেদনাজনক। জানা গিয়েছে, যমজ সন্তানের জন্মদাতা মা আজা শোনি ২০০২ সালে সন্তান প্রসবের জটিলতার কারণে কোমায় চলে যান। টাকায় লোভে তাঁর স্বামী গোচা গখারিয়া আনো এবং অ্যামিকে আলাদা পরিবারে বিক্রি করে দেন এবং কোমা থেকে ফিরে এলে তাদের মাকে জানানো হয়, সে মৃত যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছে। আনো তিবিলিসিতে বড় হয়েছেন। আর অ্যামি জুগদিদিতে বড় হয়েছেন। দুজনেই একে অপরের কথা জানত না।তবে দীর্ঘ ১৯ বছর পর সত্য জানার পর যমজ সন্তান তাদের এতদিনের পরিবারের মুখোমুখি হযন। উভয় দত্তক নেওয়া মা বলেছেন, তাঁদের বলা হয়েছিল যে তাঁরা যে বাচ্চাদের দত্তক নিচ্ছেন তাঁরা অনাথ এবং দুজনের কারোরই ধারণা ছিল না যে, তাঁদের মেয়ের একজন যমজ বোন আছে। অবশেষে দুই বোন তাঁদের জন্মদাত্রীকে খুঁজে বার করেন এবং দেখাও করেন।