ভারতে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ধনকুবের বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদী ফেরার হয়েছেন বহুদিন। বর্তমানে তাঁদের ঠিকানা লন্ডন। তবে কবে লন্ডন থেকে ভারতে তাঁদের আনা হবে তা নিয়ে বহুবার নানান প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফরকালে সেই প্রশ্ন ফের উঠল। এদিন এই প্রশ্নের মুখে পড়ে বরিস জনসন জানি🐈য়েছেন, ‘ আমরা চাই ওঁদের (বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী) ভারতে প্রত্যার্পণ হোক বিচারের জন্য।’
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ব্রিটেন চাইছে নীরব মোদী ও বিজয় মালিয়ারা যাতে ভারতে ফেরেন আর তাঁরা যাতে বিচারের মুখোমুখি হন। বিষয়টি নিয়ে বরিস জনসন বলেন, ‘ …কিছু টেকনিক্যালিটিসের দিক রয়েছে, যার জেরে জটিলতা তৈরি হয়েছে (তবে) ইউকে সরকার নির্দেশ দিয়েছে প্রত্যর্পণের। তবে আমাদের দিক থেকে আমরা চাই তাঁদের প্রত্যার্পণ হোক ভারতে। ’ এছাড়াও ভারতে ঋণখেলাপী করে বা জালিয়াতি করে ব্রিটেনের মতো দেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা তাঁদের একেবারেই স্বাগত জানাচ্ছি না, যাঁরা ভারতের আইনকে ধোঁঁকা দিয়ে আমাদের আইনি ব্যবস্থার আশ্রয় নেন। আমি এটা খুবই স্পষ্ট করে দিতে চাই। ’ আর🉐ও পড়ুন-চিন ফেরাচ্ছে শ্রীলঙ্কার পড়ুয়াদের, অথচ ভারতীয়দের নিয়ে কোন𒆙 পদক্ষেপ?
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা জানিয়েছেন যে, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীর এই প্রত্যার্পণের অনুরোধ সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নস্তরে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য় হল আর্থিক জালিয়াতিতে পলাতকদের বিচারের মুখে দাঁড় করানো। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই বিষয়গুলি উঠে এসেছে।’ উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এদিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচন▨া করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে, বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব, আলোচনা হয়েছে ইন্দো-পেসিফিক এলাকায় অবাধ গতিবিধি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।